কঙ্গোয় ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যু ৪০

কঙ্গোয় ভয়াবহ বন্যা, মৃত্যু ৪০

ছবি: সংগৃহীত

তীব্র বন্যার কবলে পড়েছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গো। ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির বুকাভু শহরে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৪০ জনের। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাতে টানা কয়েকঘণ্টা ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়। বর্জ্য আটকে বন্ধ হয়ে যায় শহরের পানি চলাচলের মূল রাস্তা। যেকারণে আটকে যায় বৃষ্টির পানি। এতে জলাবদ্ধতাও তৈরি হয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েকশ আবাসিক ভবন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ভূমিধসের কারণে বহু হতাহত হয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে আটকে পড়াদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া কাসাই প্রদেশের অসংখ্য বাড়িঘর, গির্জা ও রাস্তাও বিধ্বস্ত হয়েছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) কিনশাসা পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে সমুদ্র সমতল থেকে ৬ দশমিক ২০ মিটার (২০.৩৪ ফুট) উচ্চতায় ওঠে। এর আগে ১৯৬১ সালে এই পয়েন্টে কঙ্গো নদীর পানি রেকর্ড ৬ দশমিক ২৬ মিটার উচ্চতায় উঠেছিল। এছাড়া দেশের ভেতরের দিকে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টির পর নদীটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ফলে নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষ বাধ্য হয়েই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে ৬০ বছরের মধ্যে কঙ্গো নদীর পানি সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছানোর কারণে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ও কঙ্গো রিপাবলিকে গত কয়েক মাসে প্রাণহানি হয়েছে তিনশ জনের বেশি মানুষের। খবর রয়টার্সের।

জানা গেছে, ত্রুটিপূর্ণ নগর পরিকল্পনা ও দুর্বল অবকাঠামো আফ্রিকার কিছু দেশ আকস্মিক বন্যা মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দেশে ঘন ঘন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে আর তাতে দেখা দিচ্ছে এমন বন্যা।

কঙ্গোর নদীপথ প্রশাসন জানায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকেই কঙ্গো নদীর পানির স্তর বাড়ার বিষয়টি লক্ষ করেছিল; তখন তারা সতর্ক করে বলেছিল, রাজধানী কিনশাসার প্লাবনভূমির প্রায় পুরোটাই বন্যার কবলে পড়তে পারে।

মন্ত্রণালয়টি গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ৩ লাখের মতো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং লাখ লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।