রমজানের আগেই উপজেলার ভোট শুরু

রমজানের আগেই উপজেলার ভোট শুরু

ফাইল ছবি

রমজানের আগে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

অশোক কুমার জানান, এখন পর্যন্ত ৪৮৫টি উপজেলার তালিকা পেয়েছেন তারা। আগে যেহেতু ধাপে ধাপে নির্বাচন হয়েছে, এবারও সেভাবে হতে পারে। নির্বাচন কয় ধাপে হবে, সে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন দেবে। দেশে উপজেলা পরিষদ ৪৯৫টি। সাধারণত সবকটি উপজেলায় একসঙ্গে নির্বাচন হয় না। কয়েকটি ধাপে নির্বাচন হয়।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সব দিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। দেশে রোজার মধ্যে নির্বাচন হওয়ার নজির কম রয়েছে। কমিশন অনুমোদন দিলে প্রথম ধাপের নির্বাচন রমজানের আগে, বাকিগুলো পরে হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সে হিসেবে সব উপজেলাই নির্বাচনযোগ্য।

 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বিষয়ে চিঠি পাননি। উপজেলার তালিকা পাওয়া গেছে। নির্বাচনের জন্য কমিশন সচিবালয় প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা হবে।

তিনি আরও বলেন, সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ সদস্যদের তালিকা ইসি পেয়েছে। কমিশনের অনুমোদনক্রমে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আগামী সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দিলে তফসিল ঘোষণা হবে। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতে হবে ভোট।

এবার ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য থাকায় সংরক্ষিত আসনের বণ্টন কীভাবে হবে, এ প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটি তো রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হবে। এ ব্যাপারে কমিশনের তেমন বক্তব্য নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেবো। দলগুলো কোটা অনুযায়ী কতটি পাবে, সে ব্যাপারে বলে দেওয়া হবে।

কোনো দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোট করেছেন– এমন তথ্য এখনও কমিশনকে জানানো হয়নি। স্বতন্ত্ররা যদি কোনো দলের সঙ্গে বা নিজেরা আলাদা জোট না করেন, সে ক্ষেত্রে তাদের আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত আসনের বণ্টন কীভাবে হবে– এ প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার বলেন, তারা যদি কিছু না জানায়, তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট হয়। এতে আওয়ামী লীগের ২২৩, জাতীয় পার্টির ১১, ওয়ার্কার্স পার্টির ১, জাসদের ১, কল্যাণ পার্টির ১ এবং স্বতন্ত্র ৬২ জন নির্বাচিত হন। আইন অনুযায়ী নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ৫০ জন নারী সংরক্ষিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত করবেন।