দুধের বিকল্প যা খেতে পারেন

দুধের বিকল্প যা খেতে পারেন

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। কারণ দুধে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। দুধ থেকে যে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, তা শরীরের জন্য জরুরি। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে চিকিৎসকেরা অনেককে দুধ খেতে নিষেধ করেন। দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবারে ল্যাকটোজ নামক একটি উপাদান থাকে। ল্যাকটোজের ইনটলারেন্সে কারও কারও শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুধ না খেতে পারলে যেসব খাবার খেতে পারেন, সেগুলো হলো–

সয়া মিল্ক
এটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভালো উৎস। এতে আইসোফ্লেভন নামের প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে, যা রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল চর্বি কমায়। এতে বিদ্যমান লেসিথিন স্মরণশক্তি বাড়ায়। এ ছাড়া সয়া মিল্কে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ও আয়রন।

ওটস মিল্ক
ওটস মিল্ক সাধারণত হোল গ্রেইন ওটস দিয়ে বানানো হয়। এতে প্রোটিন ও ফাইবার তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ফলে ওজন কমাতে এই দুধ খুব কার্যকরী। গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম বেশি থাকে ওটস মিল্কে।

কোকোনাট মিল্ক
যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স রয়েছে, তাঁরা অনায়াসে নারকেলের দুধ খেতে পারেন। এটি কম ক্যালরি সম্পন্ন দুধ। পাশাপাশি দুধের চেয়ে প্রোটিন, শর্করা ও চর্বি কম থাকায় স্বাস্থ্যসম্মত।

বাদামের দুধ
বাদাম দুধ ভিটামিন ই-এর ভালো উৎস। এই দুধের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট শরীরকে নানা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে। বাদামের দুধের মধ্যে আমন্ড বা কাঠবাদামের দুধ, পিনাট বাটার মিল্ক, হেজেল নাট মিল্ক অন্যতম। শিশুদের পছন্দের খাবার বাদাম, কলা, খেজুর, কিসমিস বা অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটে এই দুধ দিলে, তা হবে আরও বেশি পুষ্টিকর।

রাইস মিল্ক
চালে খুব কম মানুষের সমস্যা হয়। সিদ্ধ বা আতপ চালের গুঁড়া জ্বাল দিয়ে, কিংবা লাল চালের মাড় থেকে তৈরি করা হয় রাইস মিল্ক। এটি থেকে রাইস পুডিংও বানানো সম্ভব। এতে পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন পাওয়া যায়। ফলে রাইস মিল্ক বা রাইস স্যালাইন - উভয়ই পর্যাপ্ত ক্যালরি সমৃদ্ধ।