ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিনিময়ে সৌদির স্বীকৃতি : ইসরাইলের প্রত্যাখ্যান

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিনিময়ে সৌদির স্বীকৃতি : ইসরাইলের প্রত্যাখ্যান

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সম্মতির বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে প্রস্তাব মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিনকেন দিয়েছিলেন, তা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ইসরাইল সফরের সময় ব্লিনকেনকে নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়, এমন কোনো চুক্তি করতে তিনি প্রস্তুত নন। পরিচয় প্রকাশ না করে তিন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার এনবিসি এই খবর প্রকাশ করে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেন, এর জবাবে ব্লিনকেন বলেছিলেন যে সামরিক উপায়ে হামাসকে দূর করা যাবে না। ইসরাইলি নেতারা যদি তা স্বীকার করতে ব্যর্থ হন, তবে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

ব্লিনকেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং অপর চার আরব নেতার কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে নেতানিয়াহুকে তা জানিয়েছিলেন। ওইসব নেতা আরো বলেছিলেন, তারা গাজা পুনর্গঠনে তহবিল এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

ব্লিনকেনকে প্রিন্স বিন সামলান বলেছিলেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পর গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি প্রস্তুত। প্রিন্স বিন সালমান একে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তুতি হিসেবেই বিবেচনা করেছিলেন।

এনবিসি জানিয়েছে, নেতানিয়াহু একমাত্র যে অনুরোধে রাজি হয়েছেন তা হলো লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর বড় ধরনের হামলা শুরু না করা।

মার্কিন কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি অনুরোধেও রাজি হয়েছে ইসরাইল। তা হলো উত্তর গাজায় বাড়িঘরে ফিলিস্তিনিদের ফেরার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের তদারকি করা।

অবশ্য, ব্লিনকেন ইসরাইলের আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতার সাথে আলোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গাঞ্জ এবং বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ। উল্লেখ্য, যুদ্ধের পর বেনিয়ামিনের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন গাঞ্জ। তিনি তাদের সাথেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে তাদের অভিমত কী ছিল, তা জানা যায়নি।

সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল