ভেঙে ফেলা হবে ধউর-আশুলিয়া সড়ক

ভেঙে ফেলা হবে ধউর-আশুলিয়া সড়ক

ছবি : সংগৃহীত

আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কের দুই পাশে তৈরি হচ্ছে চার লেনের আরও দুটি উড়াল সড়ক, যা ঢাকাকে যুক্ত করবে আশুলিয়ার সঙ্গে। চাইলেই এই সংযোগ সেতু দিয়ে সরাসরি ওঠা যাবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। আবার শুধু পারাপারেও ব্যবহার করা যাবে এই সেতু। সে ক্ষেত্রে দিতে হবে না টোল।

আশুলিয়ার কোলঘেঁষা পুরো এলাকাটি জলাধার হিসেবে ধরা হয় ড্যাবের নকশায়। কিন্তু প্রয়োজনে সেখানে সড়ক নির্মাণ করা হয়। এবার সেই জলাধার উন্মুক্ত করা হচ্ছে। চলতি বছরই ভেঙে ফেলা হবে ধউর-আশুলিয়া সড়ক।

সরেজমিন দেখা যায়, আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে তৈরি হচ্ছে দুই লেনের দুটি উড়াল সেতু, যা আশুলিয়ার সঙ্গে ঢাকাকে যুক্ত করবে। এতে প্রাণ ফিরবে এখানকার জলাধারে।

এই সংযোগ আবার পুরো পথটাকে করা হয়েছে বিশেষ নকশায়, যা দেবে বাড়তি নান্দনিকতা। এই অংশে মূল এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরুর আগেই উড়াল এই সংযোগ সড়কের কাজ এ বছরেই শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। তার পরেই ভেঙে ফেলা হবে এই সড়ক।

আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, জনগণ আগে যে রোড ব্যবহার করত, এখন সেখানে ব্রিজ ব্যবহার করবে। তবে কোনো টোল দিতে হবে না। এখানে দুটি এলিভেটেড ইউটার্ন আছে। এই দুটি ইউটার্ন দিয়ে জনগণ যতবার ইচ্ছা টোলফ্রি এলাকাটা পরিদর্শন করতে পারবে। এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। প্রকল্পের কাজ ২০ ভাগ শেষ হয়েছে। তবে টোল ও দুটি ব্রিজ নির্মানের তাড়া আছে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে টোল এবং ব্রিজদুটি উদ্বোধন করতে পারব।

এদিকে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধেউর পর্যন্ত উঠে গেছে অধিকাংশ পিলার। কাজ দৃশ্যমান ওই প্রান্তেও। পূর্ত কাজের অগ্রগতি ২০ ভাগ হলেও সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৩০ ভাগের বেশি। 

মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘মাটির নিচের কাজটায় জটিলতা বেশি। অবশ্য আমরা তা প্রায় কভার করে এনেছি। ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে আমরা ২০ কিলোমিটারের কাজ ধরে ফেলেছি।’

২০২৬ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।