স্কুটার চুরি ঠেকাতে লাগান এই যন্ত্র

স্কুটার চুরি ঠেকাতে লাগান এই যন্ত্র

ফাইল ছবি

স্কুটারের সহজলভ্যতা এবং তা চালানো সহজ হওয়ার কারণে রাস্তায় বাইকের তুলনায় বেশি এই টু হুইলার দেখা যায়। ভালো মাইলেজও পাওয়া যায় আজকালকার স্কুটারে। পুরুষ থেকে নারী সবার জন্যই আদর্শ স্কুটার। যারা নিয়মিত চালান তারা স্কুটিতে ছোট্ট কয়েকটি ডিভাইস লাগিয়ে দিতে পারেন। সাধের স্কুটার সুরক্ষিত এবং নিরাপদ থাকবেন। কী সেই ডিভাইস জেনে নিন।

স্কুটার সুরক্ষিত রাখার জন্য যা যা করা উচিত

পরিশ্রমের টাকা দিয়ে স্কুটার সুরক্ষিত রাখতে কে না চায়! কিন্তু, রাতের অন্ধকারে আপনার সাধের স্কুটারের সঙ্গে কী হচ্ছে তা জানেবন কী করে? পাশাপাশি অচেনা কোথাও গেলে তা চুরি হওয়ার ভয়ও থাকে। এখন তো আবার বাইকের থেকে বেশি স্কুটার ব্যবহার হতে দেখা যায়। পুরুষ-নারী সবাই চালাতে পছন্দ করেন স্কুটার।

আসলে এই ধরনের টু হুইলার নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ। উপরন্ত, ভালো মাইলেজও পাওয়া যায় তাই তেল খরচের প্রভাব খুব একটা চাপ দেয়না পকেটে। কিন্তু, সেই স্কুটারের সঙ্গে যদি বাজে কিছু হয় বা চোরেদের হাতে পড়ে তখন কী করবেন? এক্ষেত্রে আপনার কাজে আসতে পারে এই সব ডিভাইস। 

অ্যান্টি থেফট অ্যালার্ম

অ্যান্টি-থেফট অ্যালার্ম বেশ কার্যকর একটি ডিভাইস। এটি স্কুটারে লাগালে চুরির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। যখনই কোনো চোর বা অসাধু ব্যক্তিরা স্কুটার নিয়ে টানাটানি করবে একটি অ্যালার্ম বাজতে থাকবে। এক্ষেত্রে কার অ্যালার্মের থেকে আলাদা নির্দিষ্ট মোটরসাইকেল অ্যালার্ম বেছে নিতে পারেন এবং নিশ্চিত করা দরকার কোনো ফলস অ্যালার্ম যেন না হয়। অনলাইন বা অফলাইন দুই জায়গা থেকেই কিনতে পারবেন এই ডিভাইস।

ইঞ্জিন কিল সুইচ

কিল সুইচের ফায়দা হল এটি লাগালে স্পার্ক প্লাগ থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ আর্টকে দেয়। ফলে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন স্টার্ট হয় না। যতক্ষণ না ওই কিল সুইচ বন্ধ করা হচ্ছে ততক্ষণ স্টার্ট হবে না টু হুইলার। এটি চুরির হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

জিপিএস সিস্টেম

ধরুন, বাড়ির কেউ আপনার স্কুটার নিয়ে বের হলো, বা কোনও বন্ধুকে ওই স্কুটার চালাতে দিলেন। সে কতদূর গেছে, আপনার স্কুটার কোন লোকেশনে আছে বা এলাকার সীমানার বাইরে কিনা তা জানতে পারবেন বাড়ি বসেই। স্কুটারের লোকেশন ট্র্যাক করার ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী একটি ডিভাইস। এই জিপিএস সিস্টেম স্কুটির সিটের নিচে ইনস্টল করে দিতে পারেন।

একাধিক লক

স্কুটার সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখার জন্য এটিও একটি কার্যকরী উপায়। টাকা দিয়ে স্কুটার যাতে অসাধু লোকেদের হাতে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য একাধিক লক ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে যারা নিরিবিলি এলাকায় থাকেন বা যেখানে স্কুটার-মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে সেখানে অবশ্যই একাধিক লক দিয়ে স্কুটার নিরাপদ রাখুন।