ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের দায়ে একজন স্থায়ীসহ ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের দায়ে  একজন স্থায়ীসহ ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের দায়ে একজন স্থায়ীসহ ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুরের দায়ে রেজোয়ান সিদ্দিকী কাব্য নামের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে আরো ৫ শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙখলা কমিটির ১২তম সভায়  তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

র‍্যাগিংয়ের দায়ে বহিস্কৃতরা হলেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব। তাদেরকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছ। নিজ বিভাগের এক জুনিয়রকে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গঠিয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে তাদেরকে প্রথমে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তী অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে ভাঙচুর, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ ও আতিক আরমানের বিরুদ্ধে। পরে চিকিৎসা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। পরে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয় ও অন্য দুইজনকে সতর্ক করা হয়। কাব্যকে এর আগেও মহাসড়কে ছিনতাই ও ক্যাম্পসে অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, র‍্যাগিংয়ের সাথে জড়িতদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মহামান্য হাইকোর্ট থেকেও এ নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান এ ধরনের ঘটনায় জড়িত হয়ে যাতে তাদের মূল্যবান জীবন নষ্ট না করে এবং বাবা মায়ের স্বপ্ন ভঙ্গ না করে।