অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চায় সরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চায় সরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চায় সরকার : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বিভিন্ন মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালায়, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্স (এটকো) নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন অধিদফতর বা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে অবশ্যই সমালোচনা হবে এবং সেটা যদি প্রথম পাতায় প্রিন্ট মিডিয়া বা ইলেক্টনিক মিডিয়াতে হেডলাইনে থাকে তাহলে সরকারের সেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিবর্গ যে জবাব দেবেন সেই জবাবগুলো যাতে একইভাবে গুরুত্বসহকারে মিডিয়াতে আসে; যেন জনগণ একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে। কারণ গণতন্ত্রে কিন্তু মানুষকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় এবং ইনফর্ম ডিসিশন নিতে হয়।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরনের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কিভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন মিসইনফরমেশনকে নির্মূল করতে চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়। তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ৩০ লক্ষ শহিদদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে। সেগুলো জেনে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক, সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে।অপতথ্য ও গুজবমুক্ত গণমাধ্যম গড়ে তুলতে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্দেশ্যমূলক ভুলতথ্য দিয়ে জাতিতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলে তা রুখে দিতে হবে।