ঢাকাকে উড়িয়ে জয়ে ফিরলো রংপুর

ঢাকাকে উড়িয়ে জয়ে ফিরলো রংপুর

সংগৃহীত

শেখ মেহেদীর বলে মোহাম্মদ নবির ক্যাচে ফিরলেন শরীফুল ইসলাম। শেষ ব্যাটার তাসকিন আহমেদ তখনও ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত নন! সাকিব আল হাসান কয়েকবার ডেকে জানতে চাইলেন ম্যাচ কি শেষ! 

আরাফাত সানি তখনো উইকেটে দাঁড়িয়ে। তাসকিন ব্যাটিং করতে অনীহা জানালে আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেন সাকিবরা। ৭৯ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করল রংপুর রাইডার্স।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) আগে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জ দেয় রংপুর। রান তাড়ায় ২১ বল বাকি থাকতেই ১০৪ রানে থামে দুর্দান্ত ঢাকা। 

বড় লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকার। রানের খাতা খোলার আগেই ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফেরেন দানুশকা গুনাথিলাকা। আরেক ব্যাটার সাইম আইয়ুব থিতু হওয়ার আগেই ফেরেন সাজঘরে। লাসিথ ক্রসপুল্লে ব্যর্থ হলে চাপে পড়ে ঢাকা।

দেশি ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝে দলটির হয়ে ব্যবধান কমান অ্যালেক্স রস। ৩৫ বলে ৫১ রান করেন তিনি। তবে, সেটা দলের পরাজয় ঠেকাতে খুব একটা প্রভাব রাখেনি। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মেহেদী হাসান। ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ-আজমতুল্লাহ ওমরজাই। 

এর আগে বাবর আজমের ফিফটি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ ওভারে ১৮৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে দলটি। তবে, দুই ঘণ্টা প্রস্ততি নিয়েও ব্যাটিংয়ে নামেননি সাকিব আল হাসান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে রংপুর। তাদের ওপেনার ব্রেন্ডন কিং শুরুতেই তাণ্ডব চালান। তবে, তাকে বেশিদূর যেতে দেননি তাসকিন আহমেদ। এই পেসারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন ১৩ বলে ২০ রান করা কিং।

সুবিধা করতে পারেননি রনি তালুকদারও। ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটার ৭ বলে ১১ রান করে আরাফাত সানির ফুলার লেংথ বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে অ্যালেস রসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। এর পর রংপুরের হাল ধরেন বাবর আজম ও নুরুল হাসান সোহান। এই দুজনের ৫০ রানের জুটিও ভাঙেন সানি। সোহান ২৪ বলে ২৬ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন।

একই ওভারে মোহাম্মদ নবিকেও আউট করেছেন সানি। উইকেট যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে পড়ে ছিলেন বাবর আজম। তিনি ৪১ বলে তুলে নিয়েছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে, বেশি আগাতে পারেননি। দানুশকা গুনাথিলাকার ঝুলিয়ে দেওয়া বল লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার।

এর পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ওমরজাই। মাত্র ১৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। ৮ বলে ১ চার ও ছক্কায় করেন ১৭ রান। আর তাতেই ভালো পুঁজি পায় রংপুর।