সিলেটে ফিলিং স্টেশনে দগ্ধ একজনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন ৫

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে দগ্ধ একজনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন ৫

সংগৃহীত

সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৬ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। অপর ৫ জন এখনো চিকিৎসাধীন।  

নিহত মতি মিয়া সিলেট নগরের ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার মৃত মিছির আলীর ছেলে। শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।

মতি মিয়া মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ। গত ২১ জানুয়ারি বিকালে পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ওই দিন রিফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ঠিকাদারের কর্মচারীরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক ফুয়েলিং স্টেশনের গাড়িতে গ্যাস দেওয়ার একটি মেশিনের কাছেই গ্র্যান্ডার মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এ সময় গ্র্যান্ডার মেশিন থেকে বের হওয়া ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে লরির পেছনের চাকাসহ পাইপে আগুন লেগে যায়। এতে লরির পাশে থাকা ড্রেনের কাজ করা ৫ শ্রমিক ও ফিলিং স্টেশনের এক কর্মচারী দগ্ধ হন।

দগ্ধরা ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ঘাসিটুলা বেতেরবাজার এলাকার জাফর আলীর ছেলে মনতাজ মিয়া (৩৫), একই এলাকার মঙ্গল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৫), মতি মিয়ার ছেলে মো. আলম মিয়া (২৩), মিছির আলীর ছেলে মো. মতি মিয়া (৬০), রজনী চন্দ্র দাসের ছেলে সুভাষ দাস (৫৫)।

দগ্ধদের ওই দিনই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মনতাজ মিয়া ও মতি মিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন শনিবার সন্ধ্যায় মতি মিয়া মারা যান।