ভারী বর্ষণে চরম দুর্দশায় গাজাবাসী

ভারী বর্ষণে চরম দুর্দশায় গাজাবাসী

সংগৃহীত

এমনিতেই ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের জেরে দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চরম মানবিক সংকটে পড়েছে গাজাবাসী। এর মধ্যেই ভারী বর্ষণ নতুন উদ্বেগ ও দুর্দশার সৃষ্টি করেছে উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য।

শুক্রবার ভারী বর্ষণের ফলে আশ্রয় শিবিরে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জীবনে আরও দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ বিরাজ করছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবারের বৃষ্টির পানিতে গাজায় হাজার হাজার আশ্রয় শিবির প্লাবিত হয়েছে। এতে করে তাঁবু ও শিবিরের বাসিন্দারা জিনিসপত্র এবং কম্বল ও গরম কাপড় ছাড়াই থাকছেন।

ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, “ভারী বৃষ্টিতে গাজার অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আমরা গাজার বিভিন্ন গভর্নরেটে প্লাবিত তাঁবু এবং ঘরবাড়ি সম্পর্কে এক হাজারেরও বেশি সতর্কতা পেয়েছি।”

তিনি বলেন, “ভারী বৃষ্টির জেরে জলাবদ্ধ পানি সরাতে পাম্পগুলো চালাতে এবং বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধারকারী যানগুলো নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে জ্বালানির অভাব সিভিল ডিফেন্স ক্রুদের কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

তাঁবুতে পানি আটকে থাকলে মানুষের মাঝে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসনের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সেই সঙ্গে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তায় ভুগছে। সূত্রআনাদোলু এজেন্সি