পাবনায় ৬.৯ ডিগ্রি তাপ মাত্রায় চরম ভোগান্তি

পাবনায় ৬.৯ ডিগ্রি তাপ মাত্রায় চরম ভোগান্তি

পাবনায় ৬.৯ ডিগ্রি তাপ মাত্রায় চরম ভোগান্তি

পাবনায় আজ রোববার (২৮ জানুয়ারি) জেলায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯টায় রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনায় চলতি মেসৈুমে গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা এটিই সর্বনিম্নতাপমাত্রা।

পাবনার ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক জানান, জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

জেলায় এ সর্বনিম্ন হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। দুর্ভোগে রয়েছে পদ্মা-যমুনা বেষ্টিত পাবনার বিভিন্ন চরা লের বাসিন্দারা। অনেকেই খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা নামার পরও খোলা রাখা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

ঈশ্বরদী কেন্দ্রিক তাপমাত্রা অত্যদিক কমে যাওয়ায় ওই উপজেলার সব স্কুল (প্রাইমারী ও উচ্চ মাধ্যমিক) রোববার বন্ধ রাখা হয় বলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী জানিয়েছেন।‘‘ঈশ্বরদীর তুলনায় জেলার অন্যান্য জায়গায় তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি থাকায় বাকি আট উপজেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল খোলা রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়া মর্ণিং শিফটের ক্লাস দেরিতে নেয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।” তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে নেমে যাওয়ায় জেলার সব প্রাইমারী স্কুল বন্ধ রাখা হয় বলে শিক্ষা অফিসের বরাত দিয়ে একাধিক শিক্ষক জানান। উল্লেখ্য, পাবনা জেলার একমাত্র আবহাওয়া দপ্তর ঈশ্বরদীতে। এই অফিসটি জেলার আবহাওয়া দপ্তর হিসেবে গণ্য করা হয়। জেলার সকল হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা।

এদিকে, তাপমাত্রা কম থাকায় ভোরে শীতের অনুভূতি হয় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য্যের  দেখা মেললেও সূর্য্যরে উত্তাপ কম। 

শহরের ট্রাফিক মোড়ে ইজিবাইক চালক রওশন আলী বলেন, আজ সকাল (রোববার) থেকে কুয়াশা আর বাতাসের কারণে শীত থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মেলায় দিনের বেলা শীতের কষ্ট ধেকে কিছুটা লাঘব হয়।

অপর একজন একজন রিকশা চালক হেলাল উদ্দিন বলেন, শীতের কারণে সকালে ও রাতে রিকশা চালানো কষ্টের হয়ে গেছে। হাত-পা সব ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু রোদ উঠার পরে শীত কিছুটা কম লাগে।