ইইউর কাছে ইউক্রেনের যে প্রত্যাশা

ইইউর কাছে ইউক্রেনের যে প্রত্যাশা

ইইউর কাছে ইউক্রেনের যে প্রত্যাশা

অবশেষে হাঙ্গেরির আপত্তি দূর করে ব্রাসেলস থেকে আর্থিক সহায়তার প্রত্যাশা আশা করছে ইউক্রেন। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন সফর করছেন। তবে ওয়াশিংটন থেকে এখনো সুখবর আসছে না।অনেক আশা ও আশ্বাস সত্ত্বেও ইউক্রেন পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কাছ থেকে গুরুত্ব আর্থিক সহায়তা হাতে পাচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মোটা অঙ্কের সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না।

চলতি সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে সেই বাধা দূর হবে, এমন সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। ফলে একমাত্র হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে যে সিদ্ধান্ত মুলতবি রাখতে হয়েছিল, সেটি অবশেষে কার্যকর করা সম্ভব হবে। ফলে আগামী চার বছরের জন্য ইউক্রেন ব্রাসেলস থেকে পাঁচ হাজার কোটি ইউরো পেতে পারে। সেক্ষেত্রে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে অতি প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে পারবে দেশটি।

রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সঙ্ঘাতের কারণে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান যুদ্ধে ইউক্রেন প্রশ্নে যতটা সম্ভব বাধা সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু বাকি ইইউ সদস্যদের প্রবল চাপের মুখে তিনি সম্ভবত এবার আপত্তি তুলে নেবেন। এর পূর্বশর্ত হিসেবে তিনি সহায়তা ইইউ বাজেট থেকে আলাদা রাখার এবং প্রতিবছর মূল্যায়নের দাবি করেছেন সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেটার সিজায়েতো রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন।

সোমবার তিনি সীমান্তবর্তী উঝহোরোদ শহরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। জট ছাড়াতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি ওরবানের সাথে আলোচনার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।

হাঙ্গেরির প্রতি সদিচ্ছার চিহ্ন হিসেবে ইউক্রেনের সংসদে গত ডিসেম্বর মাসে সীমান্তবর্তী হাঙ্গেরীয় জনগোষ্ঠীর ভাষার স্বীকৃতি সংক্রান্ত একটি আইন অনুমোদন করা হয়েছে।

অবশেষে ইইউ থেকে সহায়তার পথে বাধা দূর হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলেও ওয়াশিংটন থেকে এখনো সুখবর আসছে না।মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জোরাল উদ্যোগ সত্ত্বেও বিরোধী রিপাব্লিকান দল তার ওপর রাজনৈতিক চাপ বজায় রেখে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সহায়তা সঙ্কোচন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেন।

তার মতে, এর মাধ্যমে খারাপ বার্তা পাঠানো হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ফিরে এলে ইউক্রেনের জন্য ‘ভিন্ন’ নীতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।জার্মানির এআরডি নেটওয়ার্কের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি অর্থনৈতিক জোর কাজে লাগিয়ে ইইউ পর্যায়ে আরো সহায়তার পক্ষে সওয়াল করেন।

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য ইউরোপকে আরো উদ্যোগ নিতে হবে।অন্য একটি সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউরোপের দেশগুলোকে ইউক্রেনের জন্য অঙ্গীকার কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেলে