বিমানে যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

বিমানে যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের রুল

সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে কবির আহমেদ নামে এক যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এ বিষয়ে কবির আহমেদের পক্ষে তার স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, বিমানের পাইলটসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জেদ্দা থেকে ঢাকা আসার পথে বিমানের ফ্লাইটে মারা যান কবির আহমেদ। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মারজাহান আক্তারের পক্ষে রিট পিটিশন করা হয়।

রিটকারীর আইনজীবী বলেন, গেল বছরের ১৬ জানুয়ারি জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৩৬ এর ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরছিলেন কবির আহমেদ। জেদ্দা থেকে যখন বিমান উড্ডয়ন করে, তখন তিনি স্ট্রোক করেন। বিষয়টি পাইলটদের অবগত করা হয়, কিন্তু যিনি কমান্ডার ইন চিফ ছিলেন, তিনি নিকটস্থ বিমানবন্দরে ল্যান্ড না করে এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণা না করে বিমানটি আরও ছয় ঘণ্টা ফ্লাইট করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এ সময় কবির আহমেদকে বিমানে কোনো ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

আইনজীবী আরও বলেন, ঢাকায় ল্যান্ড করার পর কবিরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আমরা সিভিল এভিয়েশন এবং বিমান কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি প্রদান করি পাইলটদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য। কিন্তু তারা কোনো তদন্ত করেনি। অথচ পাইলটদের গাফিলতির কারণে একটি জীবন শেষ হয়ে গেল। জরুরি অবতরণ করা হলে হয়তো কবির আহমেদের জীবন বাচঁতো।