চেলচিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো লিভারপুল

চেলচিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো লিভারপুল

চেলচিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলো লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারা বজায় রেখেছে লিভারপুল। সর্বশেষ তিন ম্যাচে জয় পাওয়া দলটি চেলসিকেও উড়িয়ে দিয়েছে। প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরো দুই গোল করে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। ক্রিস্টোফার এনকুনকুর গোলে ব্যবধান কমালেও হার এড়াতে পারেনি মাউরিসিও পচেত্তিনোর চেলসি।

প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে অ্যানফিল্ডে চেলসিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। অল রেডদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন দিয়েগো জোটা, কনর ব্র্যাডলি, ডমিনিক সোবোস্লাই এবং লুইস দিয়াজ।  

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে লিভারপুল। ২২ ম্যাচে ১৫ জয় এবং ১ হারে ৫১ পয়েন্ট তাদের। দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ১ ম্যাচ কম খেলে ৫ পয়েন্টে পিছিয়ে।
 
ম্যাচের ৬ মিনিটে লিভারপুলের বক্সে কনর গ্যালাঘার পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করেন চেলসির খেলোয়াড়রা। তবে রেফারি সেটাতে সায় দেননি। এরপর আর প্রথমার্ধে কোনো আক্রমণই করতে পারেনি চেলসি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাপট বাড়তে থাকে লিভারপুলের।
  
৮ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো লিভারপুল। তবে ডারউইন নুনেজের দূরপাল্লার শট পেত্রোভিচের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। ১০ মিনিট পর আবারও গোলে শট নেন নুনেজ। এবারও উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ডের শট পেত্রোভিচের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে।
 
তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি লিভারপুলকে। ২৩ মিনিটে ব্র্যাডলি নিজেদের অর্ধ থেকে বল ধরে এগিয়ে বক্সের সামনে বাড়ান জোটাকে। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে এগিয়ে কাছ থেকে গোলটি করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। ৩৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্যাডলি। দিয়াজের পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ২০ বছর বয়সী ডিফেন্ডার।
  
দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য ধরে রাখে লিভারপুল। ৬১ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন সোবোস্লাই। নিজেদের অর্ধ থেকে ফন ডাইকের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে ডান দিক দিয়ে এগিয়ে ব্র্যাডলি ক্রস দেন বক্সে, আর হেডে গোলটি করেন হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার।
 
৭১ মিনিটে চেলসির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন এনকুনকু। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে দুই ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে নিচু শটে গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। তবে ৮ মিনিট পরেই আবারও গোল হজম করে তার দল। বাঁ দিক থেকে নুনেজ পাস দেন বক্সে, ছুটে গিয়ে কাছ থেকে জালে পাঠান দিয়াজ। ম্যাচের বাকি সময়ে কেউই আর জালের দেখা না পাওয়ায় বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল।