সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্ষতি করছে বাচ্চাদের, ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্ষতি করছে বাচ্চাদের, ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্ষতি করছে বাচ্চাদের, ক্ষমা চাইলেন মার্ক জাকারবার্গ

সামাজিক মাধ্যম নিয়ে মার্কিন সেনেটরদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়লেন মার্ক জাকারবার্গ-সহ অন্যরা। ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ ।বুধবার মার্কিন সেনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সেই সব বাবা-মা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন, ফেসবুক  ও অন্য সমাজিক মাধ্য়মে আসক্তির জন্য যাদের সন্তানদের ক্ষতি হয়েছে। একজন সেনেটর সরসরি অভিযোগ করেন, জাকারবার্গরা এমন একটি প্রোডাক্ট  নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।শুনানির সময় জাকারবার্গ ওই সন্তানদের অভিভাবকদের বলেছেন, ''আপনাদের যে কষ্টের মধ্য়ে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়।''

সেনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি এই হাইটেক কর্তাদের ডেকেছিল এবং তাদের কঠিন প্রশ্ন করে। এর নাম দেয়া হয়েছিল, বিগ টেক অ্য়ান্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস।জাকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্ন্য়াপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্রঁ এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন।

সেনেটরদের নিন্দা

সেনেটর ডিক ডুবিন ছিলেন এই কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, ''এই কোম্পানিগুলি যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর বাচ্চা র কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলি সুরক্ষার পিছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদের মধ্যে পড়েছে।''সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ''মিস্টার সাকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলির কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এরকম পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে।''

জাকারবার্গ সেনেটরদের বলেন, ''ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে।''তিনি স্বীকার করেন, ''সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য়ের পক্ষে খারাপ।''অনলাইন সুরক্ষায় অর্থ খরচ করবে কোম্পানিগুলি

টিকটক সিইও শাও জি চিউ বলেছেন, ''আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি জানি, যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা খুবই ভয়ের এবং প্রতিটি বাবা-মার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো।''তিনি জানিয়েছেন, ''নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি দুইশ কোটি ডলার খরচ করবেন। চলতি বছরেই আমাদের ৪০ হাজার পেশাদার সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।''

মেটাও জানিয়েছে, ''তাদের ৪০ হজার কর্মী অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে থেকে তারা দুই হাজার কোটি ডলার এর জন্য খরচ করেছে।''মেটার কাছেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিশোর ও সদ্য যুকদের কাছে অচেনা জায়গা থেকে কোনো বার্তা পাঠানো হলে, তা ব্লক করা হবে।এছাড়া ইনস্টা ও ফেসবুকে কিশোরদের কনটেন্টের উপর আরো কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

সূত্র : ডয়চে ভেলে