বনভূমি সম্প্রসারণ ও জবরদখলমুক্ত কার্যক্রম জোরদার করতে বনমন্ত্রীর নির্দেশ

বনভূমি সম্প্রসারণ ও জবরদখলমুক্ত কার্যক্রম জোরদার করতে বনমন্ত্রীর নির্দেশ

বনভূমি সম্প্রসারণ ও জবরদখলমুক্ত কার্যক্রম জোরদার করতে বনমন্ত্রীর নির্দেশ

বনভূমি সংরক্ষণ থেকে সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিতে বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী । তিনি পাইলটিং ভিত্তিতে বন সম্প্রসারণের মাধ্যমে নতুন বন ঘোষণা করার ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি গাজীপুরসহ বেদখল হয়ে যাওয়া বনভূমি জবরদখলমুক্ত করতেও বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ঢাকায় বন অধিদপ্তর পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

বনমন্ত্রী এ সময় গাজীপুরের শেখ কামাল ওয়াইল্ড সেন্টারকে কার্যকর করতে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা জমা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, উপকূল জুড়ে নিরবিচ্ছিন্ন সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। বন্যপ্রাণীর আন্তর্জাতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে বন অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। নিজ নিজ দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বন সংরক্ষণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো: আমীর হোসাইন চৌধুরী, উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়-সহ বন অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের সকল এবং সারাদেশের  বিভাগীয় বন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। বন অধিদপ্তরের মিশন, ভিশন, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সহ সার্বিক বিষয়  পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, ঢাকার বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ।