হাত-পা বাঁধা শিশুর মরদেহ উদ্ধার

হাত-পা বাঁধা শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবিঃ সংগৃহীত।

পশ্চিমবঙ্গে পরিত্যক্ত পুকুর থেকে মুখ, হাত এবং পা বাঁধা অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পানিহাটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড পিবি ঘাট রোড অঞ্চলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ৩১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলো ইনতেয়াজ হুসেন নামের শিশুটি। অপহরণের অভিযোগে খরদহ থানায় ডায়েরি করা হয়। ওই কিশোরের মরদেহ ‍উদ্ধারের পর অবরোধ করেছে উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।

জানা গেছে, পানিহাটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসিম হুসেনের ছেলে ইমতিয়াজ হুসেনের বয়স ৮ বছর। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে সে নিখোঁজ ছিল। স্থানীয় খড়দহ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ইমতিয়াজ হুসেনের বাবা নাসিম হুসেন। থানায় ডায়েরির পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।

৫ দিন পর গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পানিহাটি পৌরসভার ৭ নম্বরের পিবি ঘাট রোড গঙ্গা নদীর ধারে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে মুখ, হাত এবং পা বাঁধা অবস্থায় ইমতিয়াজ হুসেনের মরদেহ দেখতে পায় এলাকার লোকজন। ইমতিয়াজ হোসেনের মুখের ভেতরে কাপড় গোজা ছিল। এরপরেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় খড়দহ থানায়।

খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ ও দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ মৃদু লাঠি চার্জ করেছে।

ইমতিয়াজ হুসেনের নানি রাবিয়া খাতুন বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পরেই আমরা থানায় গিয়ে ডায়েরি করি। থানা থেকে যদি সাহায্য করতো তাহলে আজ এই ধরনের ঘটনা ঘটতো না। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবারের কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবকিছু খতিয়ে দেখছে খড়দহ থানার পুলিশ।