ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ১২ বাংলাদেশি

সংগৃহীত ছবি

দালালদের খপ্পরসহ বিভিন্নভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত আটকা ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলদেশে আসেন।

দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছাম্মত বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো. সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলার মো. আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো. শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামালপুর জেলার মো. নরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী।

ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের অধীনে তাদের জরুরি সহায়তা হিসেবে খাবার, কাউন্সিলিং সেবা ও নগদ দুই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন ও আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার তাদের হাতে এসব তুলে দেন।

ভারত থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের নথিপত্র সূত্রে জানা গেছে, দালালদের খপ্পরে বিভিন্ন সময় ১২ জন বাংলাদেশি ভারতে পাচার হয়েছিলেন। পরে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এরপর স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগাযোগ করে তাদের দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তিপত্র সংগ্রহ করে আগরতলার সহকারী হাইকিমশন।

ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরে তারা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করার পর কারাভোগ শেষ করে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি নাগরিকরা জানান, দালালরা লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার করে দিয়েছিল। পরে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তারা আটক হয়। জেল খাটার পর স্থানীয় হোম স্টেন্টারে রাখা হয়েছিল।