মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪

মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ৪

প্রতিকী ছবি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি মাদরাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ মাদরাসা শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. দ্বীপ সাহা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জানান, মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। এ সময় তার শারীরিক অসুস্থতা ও পোশাকে রক্ত দেখে পরিবারের লোকজন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ সময় ওই মাদরাসার শিক্ষক তাকে নির্যাতন করেছে বলে জানায়। হাসপাতালে শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় চার শিক্ষককে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। আটক চার শিক্ষককে থানায় থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়? কোথায় দেবো শিক্ষাগ্রহণ করতে? শিক্ষক বাবার সমান সেই শিক্ষক কিভাবে একাজ করতে পারলো? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দ্বীপ সাহা জানান, শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।