কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ১০ বছর পর দুজনের যাবজ্জীবন

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ : ১০ বছর পর দুজনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

বরিশালের বাকেরগঞ্জে কিশোরীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভাতশালা গ্রামের আউয়াল রাঢ়ি ও তৌকির সন্যামত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী কাজী মো. হুমায়ুন কবির।

কাজী হুমায়ুন বলেন, ২০১৪ সালের ৭ জুন সন্ধ্যায় প্রেমের সম্পর্কে ১৬ বছর বয়সী কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে লঞ্চে চড়ে বাকেরগঞ্জ ডিসি ঘাটে নামেন। সেখানে নামার পর প্রেমিকাকে লঞ্চঘাটে রেখে প্রেমিক টাকা আনতে যান। এ সময় আউয়ালসহ কয়েকজন প্রেমিককে মারধর করে কিশোরীকে অপহরণ করেন।

এজাহারের বরাতে কাজী হুমায়ুন বলেন, অপহরণের পর পশ্চিম ভাতশালা গ্রামের শংকর সাধুর বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে তৌকির ও আউয়াল ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরীকে সেখান থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করার পর ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। পরে তৌকির ও আউয়ালকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

কাজী হুমায়ুন আরও বলেন, পরবর্তীতে কিশোরী বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বাকেরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাছুম তালুকদার একই বছরের ৫ আগস্ট দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। বিচারক সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে রায় দেন। রায়ে অপহরণের অভিযোগে দুজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি দুজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।