বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ : ডিসিসিআই সভাপতি

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ : ডিসিসিআই সভাপতি

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ : ডিসিসিআই সভাপতি

চলতি বছরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য কমে যাওয়ায় চলতি মূলধনের চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক মাত্র ১০ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করেছে। এ অবস্থায় চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণ করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এর সমাধান করা না গেলে  খরচ কমাতে হবে। এতে করে উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। উৎপাদন কমলে প্রবৃদ্ধি প্রভাব পড়বে। এছাড়াও কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে। আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করছি যেন ক্রেডিট ফ্লো-টা বাড়ানো যায়। এতে অর্থনীতি গতিশীলতা ধরে রাখা সম্ভব।মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত 'সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে অংশ  নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম সামদানী ভূঁইয়া।ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে অর্থনীতির আকার আড়াইগুণ বাড়াতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অনেক কিছু করতে হবে। গত দেড়-দুই বছরে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে গেছে আমাদের ইকোনমি ও বিশ্ব ইকোনমি। তিনি বলেন, দেশে এখন ডলারের সংকট রয়েছে। ব্যাংকগুলোর কাছে যথেষ্ট পরিমাণ ডলার লিকুইডিটি নেই। এজন্য আমদানির সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আমদানি কমলে উৎপাদনের ওপর বড় ধরণের প্রভাব পড়ে।

বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কম হওয়ায় পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করা হচ্ছে না কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নেওয়া কঠিন। এটা পুঁজিবাজারে নেই। বন্ড ইস্যু করে ৫ বছর ১০ বছরের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন। যখন খুশি তা বিক্রি করে দিতে পারেন। পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করাটা একটু সময়সাপেক্ষ। এটা ইমিডিয়েট কাজ করবে না। দীর্ঘমেয়াদে এটা নিয়ে কাজ করা যাবে। অডিট রিপোর্টের একটা বাধ্যবাধকতা আছে।

এ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে ভালো ইস্যুয়ারগুলোকে নিয়ে আসা। আমরা এ বিষয়ে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি। ভালো ইস্যুয়াররা বন্ডে ও ফিক্সড ডিপোজিট দুটোতেই আসতে পারে। বন্ড মার্কেটে প্রাইমারি ট্রেড হচ্ছে কিন্তু সেকেন্ডারি হচ্ছে না। ইস্যুয়ারদের নিয়ে এসে আমাদের ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে।আশরাফ আহমেদ বলেন, মানি লন্ডারিং বা অন্য কোনো অনিয়মে যেসব ব্যবসায়ী জড়িত দায় শুধু তারই। তাই কোনো একজন ব্যবসায়ীর দায় সব ব্যবসায়ীর ওপর বর্তায় না। তিনি জানান, ডিসিসিআই বিভিন্ন পলিসি নিয়ে সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, অনেকগুলো নতুন ধরনের ইন্ডাস্ট্রি আসছে। যেমন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন যে আছে, সেটার ক্যাপাসিটি বাড়াতে পারলে ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমি হতে পারবে।  যদি ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টির রাইট ধরে রাখতে না পারলে নলেজ বেসড প্রপার্টি ডেভেলপ করা সম্ভব হবে না।তিনি আরও বলেন, ট্রেড লাইসেন্স নিতে গেলে ৪ থেকে ৫ জনের কাছে যেতে হয়। যেগুলো ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে এক জায়গায় নিগে আসা যায়। এর জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এটা কিন্তু সরকার সরাসরি এসে করে দেবে না।

সূত্র : বাসস