যুক্তরাষ্ট্রে সুপার বোল প্যারেডে গুলি, মৃত এক, আহত ২২

যুক্তরাষ্ট্রে সুপার বোল প্যারেডে গুলি, মৃত এক, আহত ২২

যুক্তরাষ্ট্রে সুপার বোল প্যারেডে গুলি, মৃত এক, আহত ২২

বুধবার কানসাসের সুপার বোল ভিক্টরি প্যারেডে গুলি চলে। একজন মারা গেছেন। আটজন শিশু-সহ ২২ জন আহত।এনএফএল সুপার বোল প্রতিযোগিতায় জয়ের আনন্দ উপভোগ করার জন্য কানসাসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। মিসৌরি ও কানসাসের গভর্নরাও তাতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজয়ী টিমের সদস্যরাও সেখানে ছিলেন।সেখানেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ভিক্টরি প্যারেডের একেবারে শেষের দিকে গুলি চালায় বন্দুকধারী।

এরপরই প্রবল বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। মানুষ ভয় পেয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাছেই রেলস্টেশনের বাইরে মানুষ পাগলের মতো নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো এলাকাটা খালি হয়ে যায়। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। পুলিশ হলুদ টেপ দিয়ে পুরো জায়গাটা ঘিরে দেয়।

পুলিশ প্রধান যা বলেছেন

পুলিশ প্রধান গ্রেভস জানিয়েছেন, তদন্তের কাজ এখনো চলছে। প্রথমে দুইজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে আরো একজনকে ধরেছে পুলিশ।পুলিশ প্রধান বলেছেন, ভিডিওতে একজনকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। এই তিনজনের মধ্যে কেউ সেই বন্দুকধারী কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।পুলিশ প্রধান বলেছেন, ঘটনাস্থল পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন ওই জায়গা নিরাপদ। তবে ওখানে তদন্তকারীরা কাজ করছেন।

মৃতের পরিচয়

কানসাসের রেডিও স্টেশন কেকেএফআই জানিয়েছে, তাদের ডিজে লিসা লোপেজ গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।  এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ''এই অনুভূতিহীন গুলিচালনার ঘটনায় এক জন সুন্দর মানুষকে তার পরিবার ও কানসাস হারালো।''

মেয়রের বক্তব্য

কানসাস সিটি মেয়র কুইন্টন লোকাস বলেছেন, তিনিও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। সেখানে যা হয়েছে তাতে তিনি খুবই হতাশ এবং  ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, ''প্রতিটি বড় ইভেন্টে গুলি চলবে, আমাদের দেশের এই অবস্থা আমি চাই না। কোনো ইভেন্টে যেতে গেলে গুলি খাওয়ার চিন্তা হবে, সেটাও আমি চাই না।''

কানসাসের পুলিশ প্রধান বলেছেন, ''আজ যা হয়েছে তাতে আমি ক্রুদ্ধ। যারা আনন্দ করতে এসেছিলেন, তারা তো নিরাপদে থাকবেন এইটুকু প্রত্যাশা নিয়েই তো তারা আসেন।''কানসাসের গুলিচালনার ঘটনা চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রে  ৪৭তম গুলিচালনার ঘটনা বলে গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনও বারবার করে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, অস্ত্র আইন কড়া করতে হবে। কিন্তু তারপরেও মূলত রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় মার্কিন কংগ্রেসে আইন সংশোধন করে তা যথেষ্ট কড়া করা সম্ভব হয়নি। 

সূত্র : ডয়চে ভেলে