আজ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মদিন

আজ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৮২তম জন্মদিন

ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার ৭৮তম জন্মদিন আজ। ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘির ফতেহপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মরহুম আবদুল কাদের মিয়া ও মরহুমা ময়জুন নেছা বিবির সন্তান ওয়াজেদ মিয়াকে সবাই ‘সুধা মিয়া’ নামেই চিনতেন। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এ বিজ্ঞানী ২০০৯ সালের ৯ মে ইন্তেকাল করেন।

ড. ওয়াজেদ মিয়ার জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে তার স্মৃতি সংসদ (ডিডব্লিউএসএস), আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো ফাতেহা পাঠ, কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ ও স্মরণসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।

বাবা আবদুল কাদের মিয়া ও মা ময়েজুন্নেসার চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হন তিনি। ড. ওয়াজেদ মিয়া অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। গবেষণামূলক ও বিজ্ঞানবিষয়ক তার অনেক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাদের ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। মৃত্যুর পর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে দাফন করা হয়।