শিশুদের শেখার জন্য বই নাকি কম্পিউটার, কোনটা ভালো?

শিশুদের শেখার জন্য বই নাকি কম্পিউটার, কোনটা ভালো?

শিশুদের শেখার জন্য বই নাকি কম্পিউটার, কোনটা ভালো?

প্রযুক্তির যত উন্নতি হচ্ছে ততই শেখার মাধ্যম হিসেবে বই নাকি কম্পিউটার- এ বিতর্ক বাড়ছে৷ এ নিয়ে গবেষণাও চলছে৷ তবে একক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি৷হন্ডুরাসের কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, পাঠ্যপুস্তকের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ দেওয়ার পরও তাদের শেখার মাত্রায় কোনোপার্থক্য পাওয়া যায়নি৷ অর্থাৎ, ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি৷

আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, কম্পিউটারে টাইপ করার চেয়ে কোনো কিছু হাতে লেখার সময় মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয় থাকে৷ তাই টাইপ করার চেয়ে কোনো কিছু লিখলে বিষয়টি পরবর্তীতে বেশি মনে থাকে৷

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পাঠদান প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে অ্যানিমেটেড মুভি দেখানো, শিক্ষামূলক অ্যাপ ব্যবহার যার অনেকগুলোতে সফল হলে পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকে, ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ ও চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার৷

গবেষণায় দেখা গেছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদানের কারণে শিশুদের সাক্ষরতা ও সংখ্যাতাত্ত্বিক দক্ষতা বাড়ে, বিভিন্ন কাজে দক্ষতার সহিত হাত ব্যবহারের ক্ষমতা বাড়ে এবং কোনো জিনিস চেনা ও সেগুলোর অবস্থান কোথায় তা মনে রাখার সক্ষমতা বাড়ে৷ এসব কারণে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণ ও ভাষা শেখার দক্ষতা বাড়ে, গণিত, বিজ্ঞান ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে মেধা বাড়ে এবং সেই সঙ্গে কারিগরী জ্ঞান ও সৃজনশীলতাও বাড়ে৷তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কম্পিউটার শিশুদের মনোযোগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে৷ তবে এই প্রভাব স্বল্প নাকি দীর্ঘমেয়াদি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

গবেষণায় এমনও জানা গেছে, অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে৷ তবে এর জন্য সম্ভবত যতটা না কম্পিউটার দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটারে বসে থাকা৷সে কারণে বাইরে গিয়ে দৌড়ানো কিংবা বলে লাথি দেওয়ার মতো বিষয়গুলোও শিশুর উন্নয়ন ও তাদের লেখাপড়ার মানোন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷

সূত্র :ডয়চে ভেলে