দ্রুততম ১০ হাজার রানের রেকর্ড বাবরের

দ্রুততম ১০ হাজার রানের রেকর্ড বাবরের

বাবর আজম

অপেক্ষা ছিল ৬ রানের। মির হামজাকে চোখধাঁধানো কাভার ড্রাইভে চার মারার পরের বলে দুই রান নিয়ে কাঙ্ক্ষিত মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন বাবর আজম। একই সঙ্গে তার নাম উঠে গেল রেকর্ড বইয়ে।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ১০ হাজার রানের রেকর্ড গড়লেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান। তিনি ভেঙে দিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের রেকর্ড।

পিএসএলে (পাকিস্তান সুপার লিগ) বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) করাচি কিংসের বিপক্ষে ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংসের পথে এই অর্জন ধরা দেয় বাবরের। পেশাওয়ার জালমি অধিনায়কের আসরে টানা দ্বিতীয় ফিফটির ইনিংসটি গড়া ৭ চার ও ১ ছক্কায়।

বিশ ওভারের ক্রিকেটে বাবরের ১০ হাজার রান হয়ে গেল ২৭১ ইনিংসে। আগের রেকর্ডধারী গেইলের লেগেছিল ২৮৫ ইনিংস। তিনশর কম ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁতে পেরেছেন আর কেবল বিরাট কোহলি। ভারতীয় তারকার লেগেছিল ২৯৯ ইনিংস। বিশ্বের ১৩তম ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ১০ হাজার রানের ঠিকানায় পা রাখলেন বাবর।

৪৫৫ ইনিংসে ১৪ হাজার ৫৬২ রান করে সবার ওপরে আছেন গেইল। বুধবার পেশাওয়ারের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামার আগে ৪৯৪ ইনিংসে ১৩ হাজার ১৫৯ রান নিয়ে দুইয়ে পাকিস্তানের শোয়েব মালিক।

৯ হাজার ৯৯৪ রান নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নামেন বাবর। ইনিংস শুরু করে অষ্টাদশ ওভারে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি দলের স্কোর ১৪৭ রেখে। পেশাওয়ার এক বল বাকি থাকতে অল আউট হয় ১৫৪ রানে। বাবর ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল দুজন। রভম্যান পাওয়েল ২৫ বলে ৩৯ ও আসিফ আলি ১৬ বলে করেন ২৩ রান।

বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে দেশে পিএসএল খেলতে যান বাবর। প্রথম ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওই ম্যাচে ১৬ রানে হেরে যায় তার দল। পরের ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে এলো পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস।

এই সংস্করণে এটি তার ৮৪তম ফিফটি। সেঞ্চুরি আছে ১০টি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২২ সেঞ্চুরি নিয়ে এখানে চূড়ায় গেইল। পাকিস্তান জাতীয় দলসহ এখন পর্যন্ত মোট ১৯টি দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাবর