প্রাচ্যসংঘ যশোরে চারদিনের ইন্দো-বাংলা চিত্র প্রদর্শনী সম্পন্ন

প্রাচ্যসংঘ যশোরে চারদিনের ইন্দো-বাংলা চিত্র প্রদর্শনী সম্পন্ন

প্রাচ্যসংঘ যশোরে চারদিনের ইন্দো-বাংলা চিত্র প্রদর্শনী সম্পন্ন

 প্রাচ্যসংঘ যশোরে শেষ হলো চারদিনের ইন্দো-বাংলা যৌথ চিত্র প্রদর্শনী ও আর্ট ক্যাম্প। ২৬ ফেব্রুয়ারীবিকাল চারটায় প্রাচ্য অডিটোরিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদ বিতরণ করেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। এর আগে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, প্রাচ্যসংঘ তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামিতে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে আরও বড় পরিসরে প্রাচ্যসংঘ এ ধরণের আয়োজন করবে। সার্কভুক্ত দেশগুলোর শিল্পীদের নিয়ে এমন আয়োজন করা যেতে পারে। প্রাচ্য, মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্যের শিল্পীদের নিয়েও এমন আন্তর্জাতিক আয়োজন হতে পারে। আর সেটা সম্ভব করতে পারে প্রাচ্যসংঘই। প্রধান অতিথি বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারের মাধ্যমে প্রাচ্যসংঘের সমাজ পরিবর্তনের যে আন্দোলন, সেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আরও বেশি করে সংযুক্ত হতে হবে।

প্রাচ্যসংঘ যশোরের সভাপতি কাসেদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রাচ্যসংঘ যশোরের প্রতিষ্ঠাতা বেনজীন খান, সংগঠনটির সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য এম এ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল ও ভারতের কলকাতার চিত্র-অঙ্গন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী স্বপন দেবনাথ।

প্রদর্শনীর আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় প্রাচ্যসংঘ ক্যাম্পাসে আর্ট

ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ইউল্যাব-এর সহকারী অধ্যাপক এ এফ এম মনিরুজ্জামান। আর্টক্যাম্পে ভারত ও বাংলাদেশের ২৫

জন শিল্পী অংশ নেন। আর্টক্যাম্পে অংশ নেওয়া শিল্পীদের চিত্রকর্মও প্রদর্শনীতে স্থান পায়। একইদিন বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোছাইন।

আয়োজকরা জানান, প্রাচ্যসংঘ যশোরে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ বিভিন্ন রাজ্যের ৬০ জন শিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পায়। পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০ জন শিশু শিল্পীসহ ২৫ জন শিল্পীর চিত্রকর্মও ছিল।

আয়োজকরা বলেন, এবারের প্রদর্শনী বাংলাদেশের প্রাচ্যসংঘ যশোর ও ভারতের কলকাতার চিত্র-অঙ্গন যৌথভাবে আয়োজন করে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানই ভারতের পারফর্মিং আর্টস ডিপ্লোমা পরীক্ষা বোর্ড সর্বভারতীয় সংগীত-ও-সংস্কৃতি পরিষদ অনুমোদিত।