রাখাইনে একের পর এক শিবির হারাচ্ছে মিয়ানমার বাহিনী

রাখাইনে একের পর এক শিবির হারাচ্ছে মিয়ানমার বাহিনী

সংগৃহীত

সামরিক জেট বিমান থেকে মঙ্গলবার বোমাবর্ষণ করা হলে মিন পিয়া উপশহরের অন্তর্গত মিন ফু হাসপাতাল ও থায়কান গ্রামে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। রাখাইন অঙ্গরাজ্যে রাখাইনদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) ও সরকারি সেনা সদস্যদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে বিমানহামলার ফলে বেসামরিক ব্যক্তিরা হতাহত হচ্ছেন।

আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুল ও ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতির শিকার হয়েছে।

থাকিয়ান গ্রামের এক স্থানীয় বাসিন্দার মতে, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে মিনপিয়া উপশহরের রামাউং সেতুর কাছে অবস্থিত গ্রামে সোমবার মধ্যরাতের ঠিক পরে জেটবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হলে ১০ জন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হন।

তিনি বলেন, 'আজ রাত ১টায় প্রায় ৩০ জন স্থানীয় মানুষ বোমাহামলায় আহত হন। একটি স্কুলে দুইটি বোমা নিক্ষেপ করা হয় এবং অপর একটি বোমা গ্রামে পড়েছে। এসব হামলায় কেউ নিহত হননি। আহতদের অনেকেই শরণার্থী।'

স্থানীয় বাসিন্দাটি বলেন, সামরিক কাউন্সিল এমন সব স্কুল ও গ্রামে বোমা নিক্ষেপ করছে যেখানে শরণার্থীরা বাস করেন।

'এটা ইচ্ছাকৃত বোমাবর্ষণ, কারণ সেখানে কোনো যুদ্ধ হচ্ছিল না। আমরা সন্ধ্যায় অন্য একটি গ্রামে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।'

মিনপিয়ার এক বাসিন্দা জানান, সামরিক কাউন্সিল, যারা রাখাইনের যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর এক শিবির হারাচ্ছে, তারা এখন বেসামরিক লোকেরা যেখানে অবস্থান করছেন, এমন স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। গ্রাম, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনের ওপর হামলায় রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দারা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।

তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয়রা খুবই উদ্বিগ্ন এবং তারা ঘুমাতে বা খেতে পারছেন না। তাদের মনে আশংকা, শত্রুরা বিমানে এসে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করবে। আমি এসব যুদ্ধ সম্পর্কে যা বলতে চাই, তা হলো, সামরিক বাহিনীর উচিত তাদের নিজেদের মানুষের প্রতি গুলি না চালানো এবং তাদের পেছনে ধাওয়া না করা।'

মিন পিয়া টাউনশিপের প্রায় সব সামরিক অবস্থান এখন আরাকান আর্মির দখলে। মিলিটারি কাউন্সিলের নয় নং কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ স্কুল এখনো তাদের দখলে থাকায়, আরাকান আর্মি সেখানে হামলা চালাচ্ছে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা