পাবনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

পাবনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত ও জাতীয় শোক দিবস পালিত

ছবি: পাবনা প্রতিনিধি

পাবনা প্রতিনিধি:পাবনায় বিনস্ম্র শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। শোক দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করে।

সকালে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে শহরের স্বাধীনতা চত্বরে দুস্থদের মধ্যে খাদ্য ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এর আগে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।এসময় স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক ও অ্যাটকো’র সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারোফ হোসেন, পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মর্তজা বিশ্বাস সনি, যুগ্ম আহবায়ক শিবলী সাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(পাবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ গভীর ও বিন¤্র শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে কালে শোক র‌্যালি বের হয়। করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে র‌্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে শেষ হয়।

সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ  ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এছাড়া আরো শ্রদ্ধা জানান শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, পরিবহন পুল, ব্যবসায়  প্রশাসন বিভাগ, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, রসায়ন পরিবার, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ, গণিত বিভাগ, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, প্রকৌশল দপ্তর, লোক প্রশাসন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ, ডিন অফিসসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রোস্তম আলী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালিকে এক সূত্রে গেঁথেছিলেন। বাঙালির জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে দেশ স্বাধীনের লক্ষে বাঙালিকে প্রস্তুত করেন। তাঁরই নির্দেশে নয় মাসের রক্তক্ষয়ীযুদ্ধে বাঙালি বিজয় লাভ করে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনে অতিদ্রুত তিনি ব্যবস্থা নেন।

তিনি সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে উজাড় করে দেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাঁকেসহ ১৭ জনকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছনে ঠেলে দেয়। কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ বলেন, আজকে বাঙালির শোকের দিন। পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে এককার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রর প্লাবনে।

  আজকের শোকের দিনেও প্রকৃতিও  বঙ্গবন্ধুর জন্য কাঁদছে। বঙ্গবন্ধুকে খুন করে খুনীরা বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করেছিল। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ফিরিয়ে এনেছেন। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শেষে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুল্লাহ। বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।