কমলা হ্যারিসের চেয়ে ভারতে আমার জনপ্রিয়তা বেশি: ট্রাম্প
কমলা হ্যারিস--ডোনাল্ড ট্রাম্প
লড়াই একেবারে জমে উঠেছে। মার্কিন রাজনীতির দুই শিবির ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের নির্বাচনী যুদ্ধে একে অপরের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে আক্রমণ শানিয়ে তুলছে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে বিরূপ মনোভাব তৈরির চেষ্টা এই যুদ্ধের একটা অস্ত্র। তবে এবার বিপক্ষ শিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে আক্রমণ করতে গিয়ে নিজেকে ফের ‘ভারতবন্ধু’ বলে দাবি করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ডেমোক্র্যাট শিবিরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ”ওঁর চেয়ে অনেক বেশি ভারতীয় সমর্থক আমার আছে।”
এই প্রথম আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে থাকা দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা কমলা হ্যারিস। আর তাঁকে নিজের ডেপুটি হিসেবে নির্বাচন করে ট্রাম্প-মাইক পেন্স জুটিকে টেক্কা দিতে বদ্ধপরিকর ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বিডেন।
দক্ষিণ ভারতীয় মেয়ে কমলা হ্যারিস এই যোগসূত্রটি প্রকাশ্যে আসার পরই ভারতীয় আবেগ কিছুটা উসকে উঠেছে আমেরিকায়। তাঁর ভারতীয়-যোগ নিয়ে বেশ সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। আত্মীয়রা চেন্নাইয়ের বেসান্ত নগরে কমলার মায়ের পরিবারের বহুদিন আগেকার ছবি টুইটারে শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বেসান্ত নগরবাসীর দৃঢ় বিশ্বাস, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া থেকে এবার কমলা হ্যারিসকে কেউ রুখতে পারবে না। সাফল্য স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
ডেমোক্র্যাট শিবিরে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে যখন এমনই আবেগাপ্লুত ভারতীয়রা, ঠিক সেসময় সম্পূর্ণ উলটো সুর ট্রাম্পের গলায়। বললেন, ”কমলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। কিন্তু ওঁর চেয়ে অনেক বেশি ভারতীয় সমর্থক আমার আছে।” কীসের ভিত্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই দাবি? রাজনৈতিক সচেতন মানুষমাত্রেই সমীকরণটা পরিষ্কার। হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ হোক কিংবা মোহালির ‘নমস্তে ট্রাম্প’ – ওদেশের ভারতীয়দের মধ্যে মোদির জনপ্রিয়তার কিন্তু তুঙ্গে। মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বও কম নয়। করোনা আবহে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিয়ে কিঞ্চিৎ ঠোকাঠুকি লাগলেও পরে তা ফের মসৃণ হয়ে গিয়েছে। ফলে বন্ধুর দিকে তাকিয়েই যে ভারতীয়দের জনসমর্থনের প্রতি ট্রাম্প এত আস্থা, তেমনটাই মনে করছেন অনেকে।