রাবিতে 'সি' ইউনিটে আসন প্রতি লড়ছে ৪৭ ভর্তিচ্ছু

রাবিতে 'সি' ইউনিটে আসন প্রতি লড়ছে ৪৭ ভর্তিচ্ছু

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথমবর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চার শিফটে 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। প্রতি আসনে লড়ছে ৪৭ ভর্তিচ্ছু। মঙ্গলবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। 

উপাচার্য বলেন, ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ অন্যান্য কর্মীরা কাজ করছে। সকলের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

জানা গেছে, এ বছর 'সি' ইউনিটে ১ হাজার ৫৯৭টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৭৬ হাজার ৩৫৪টি। সেই হিসেবে প্রতি লড়ছে ৪৭ ভর্তিচ্ছু। সকাল ৯টায় শুরু হওয়া চার শিফটের এই ভর্তি পরীক্ষা চলবে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। এতে প্রথম শিফটে (সকাল ৯-১০ টা) রোল ৩১০০০১ থেকে ৩২৮৬৪৪; দ্বিতীয় শিফটে (১১-১২টা) রোল ৩৩০০০১ থেকে ৩৪৮৬৪৪; তৃতীয় শিফটে (দুপুর ১-২টা) রোল ৩৫০০০১ থেকে ৩৬৮৬৪৪; ও চতুর্থ শিফটে (বিকেল সাড়ে ৩- সাড়ে ৪টা) রোল ৩৭০০০১ থেকে ৩৮৮৬৪৫ পর্যন্ত ভর্তিচ্ছুরা পরীক্ষায় অংশ নিবে। এ বছর (এ, বি, সি) তিন ইউনিটে একক আবেদন পড়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৯৭৭টি।

এক ঘণ্টা সময়সীমায় ৮০টি বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তরে শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়ণ করা হবে। এতে ন্যূনতম পাশ নম্বর ৪০। পরীক্ষা চলাকালে কোন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না এবং মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না। 

ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবক সেবায় হেল্পডেস্ক ও টেন্ট 

ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের তথ্য দিয়ে সহায়তার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে ১২টি হেল্পডেস্ক এবং অবিভাবকদের বিশ্রামের জন্য ২০০ আসন বিশিষ্ট ১১টি টেন্টের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জরুরি প্রয়োজনে বিনামূল্যে খাবার পানি ও চিকিৎসা সুবিধার পাশাপাশি আবাসিক হল সহ জিমনেসিয়াম ও অন্যান্য স্থানে সীমিত আকারে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে হয়রানি ও প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড এবং দোকানগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাদ্যের অতিরিক্ত মূল্য আদায় রোধে প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা কর্মীরা ও ভোক্তা অধিদপ্তরের ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।

নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসে সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা তৎপর আছি। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে কুইক রিসপন্স ব্যবস্থা রেখেছি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবক। তারা বলছেন, ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে বসার ব্যবস্থা, বিনামূল্যে হল জিমনেসিয়াম সহ অন্যান্য স্থানে অবস্থানের সুযোগ ও শিক্ষার্থীদের আতিথিয়েতা প্রশংসার দাবি রাখে। 

বগুড়া থেকে আগত অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ক্যাম্পাসের পরিবেশ খুবই সুন্দর। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। 

ভর্তিচ্ছু মারুফা ইসলাম বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন অনেক আগে থেকেই ছিল। তাছাড়া ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা পথ দেখানো সহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। সার্বিক ব্যবস্থাপনা সন্তোষজনক। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের আবাসন সহ সার্বিক সহযোগিতায় এই দপ্তর কাজ করছে। এখন পর্যন্ত আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। এটা শেষ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।