আখরোট কেন খাবেন, কী বলছে গবেষণা?
ছবিঃ সংগৃহীত।
আখরোট সাধারণত এক প্রকার বাদাম জাতীয় খাবার। বাদাম খেতে পছন্দ করেন যারা, তাদের কাছে পরিচিত নাম হলো আখরোট। এর ইংরেজি নাম ওয়ালনাট (Walnuts)। ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আখরোটকে সুপারফুড ও বলা হয়ে থাকে।
এই ফলটি গোলাকার এবং ভেতরে একটি বীজ থাকে। পাকা ফলের বাইরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের শক্ত খোলসযুক্ত বীজটি পাওয়া যায়। এই খোলসের ভেতরে থাকে দুইভাগে বিভক্ত বাদাম যাতে বাদামি রঙের আবরন থাকে যা এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি সালাদে এ আখরোট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া দেশ বিদেশের নামিদামি খাবারেও এর ব্যবহার রয়েছে। খাবারে আখরোটের ব্যবহার স্বাদকে অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
তবে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেও বেশ উপকারী এই আখরোট। এতে থাকা পুষ্টিগুণ শরীরকে নানাধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সক্ষম করে তোলে।পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, নিয়মিত আখরোট খাওয়ার অভ্যাস ক্যানসার , হার্টের অসুখ, স্নায়ুগত সমস্যা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ আরও নানা রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
তাদের দীর্ঘদিনের গবেষণাটি জার্নাল অব নিউট্রিশনে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে। যাতে গবেষকরা দাবি করেছে, আখরোট একই সঙ্গে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্ক উভয়েরই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে ডায়েটে এ খাবারটিকে রাখতে পারেন।
পুষ্টিবিদরা বলছে, সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে আখরোটকে পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া ভালো। তবে দুধ কিংবা মধুর সঙ্গেও আখরোট খাওয়া যেতে পারে। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের নিয়মিত ৫টি আখরোট খাওয়াকেই যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।