ব্যারিস্টার কাজলকে ৭ দিনের রিমান্ডে পেতে চায় পুলিশ

ব্যারিস্টার কাজলকে ৭ দিনের রিমান্ডে পেতে চায় পুলিশ

সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে সাত দিনের রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রোববার মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করার তথ্য জানান সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। 

সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনের ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ২০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলায় ১ নাম্বার আসামি করা হয় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। আর ২ নাম্বার আসামি ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এ মামলা করেন। মামলায় ভোট গণনা ছাড়াই জোর করে সম্পাদক পদের ফলাফল ঘোষণা, একটি আইফোন, পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া এবং রড, লাঠি ও চেয়ার দিয়ে হামলার অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার ওসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। 

মামলা দায়েরের পর শুক্রবার রাতেই নাহিদ সুলতানা যুথীর ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। শনিবার দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নাম্বার আসামি ব্যারিস্টার উসমানকেও ওই বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।

গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের নির্বাচনে দুদিনব্যাপী ভোটগ্রহণ হয়। সাত হাজার ৮৮৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন পাঁচ হাজার ৩১৯ জন। বৃহস্পতিবার রাতেই ভোট গণনার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। শুক্রবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। হামলার ঘটনাও ঘটে।