প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ফের আন্দোলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ফের আন্দোলনে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার ঘটনায় শিক্ষকের বিচারের দাবিতে আবারও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় সাজন সাহাকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত পরিচালনা এবং অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানান তারা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার চেয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি পালন করে এবং তদন্ত কমিটির কাজের সময় বেঁধে না দেয়া ও দুই শিক্ষকের নামে অভিযোগ থাকলেও একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা শিক্ষক সাজন সাহার পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগেরও তদন্তের দাবি জানান। এদিন আন্দোলনে বাধা দেয়ায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ।

এরপর শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সাজন সাহার পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. আতাউর রহমানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণের দাবি জানালেও তদন্ত কমিটিকে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে না দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।

তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. এ কে এম আব্দুর রফিক এবং সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান।

এর আগে গত সোমবার (৪ মার্চ) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহার বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় হয়রানি এবং বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রর বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এরপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।