আমিরাতে রমজানের প্রথম তিন দিনে ৮ নারীর ইসলাম গ্রহণ

আমিরাতে রমজানের প্রথম তিন দিনে ৮ নারীর ইসলাম গ্রহণ

প্রতিকী ছবি

আমিরাতে রমজানের প্রথম তিন দিনে ৮ নারীর ইসলাম গ্রহণ

পবিত্র রমজান মাসের প্রথম তিন দিনেই ৮ ফিলিপিনো নারী ইসলাম গ্রহণ করেছেন। দুবাইভিত্তিক দাতব্য সংস্থা দ্য ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংস্থাটি জানায়, ইসলামগ্রহণ করা নারীদের মধ্যে একজনের নাম কামিলা ইমান। তিনি জানান, ২০১৪ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান কামিলা। রমজানে বিভিন্ন দাতব্য কাজে অংশ নেন।

তিনি বলেন, ‘আমি ইসলামের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠি। এই ধর্মের সবকিছু আমাকে মুগ্ধ করে।’

২০১৬ সালে ওমান সফরের সময় ইসলামকে আরও ভালোভাবে জানার সুযোগ পানে ইমান। এ ছাড়া তার বাবাও একজন মুসলিম। ইমান বলেন, নামাজের সময় আমি মুসলিমদের একাগ্রতা ও নিষ্ঠা উপলব্ধি করতে পারি।

তিনি বলেন, যখন আযান দেয়, মুসলিমরা সবকিছু ফেলে নামাজের জন্য ছুটে যান। তাদের বিশ্বাস অত্যন্ত মজবুদ। এই কারণেই আমি ইসলাম নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি।

রমজান মাসে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশ নেন ইমান। ইসলামিক অনেক বয়ান শোনেন, আলোচনায় অংশ নেন। একটা সময় ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি নিজেকে মুক্ত অনুভব করছি। আমি এখন চারপাশেই যেন আলো দেখতে পাচ্ছি।

প্রায় একইরকম অভিজ্ঞতার কথা বলেন উইলফি নামে আরেক নারী। তিনি জানান, দুবাইয়ে একটি স্যালনে ম্যানেজারের চাকরি করতে তিনি। ২০১৯ সালে আমিরাতে যাওয়ার পর থেকে ইসলাম নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে যখন কাজ করতাম তখন লক্ষ্য করতাম আযান হলেই সব মুসলিমরা সাড়া দেয়। এক ইশ্বরের প্রতি তাদের এই আনুগত্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে নিজের জ্ঞান বাড়ান উইলফি। একটা সময় ইসলাম গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

তাকে দেখে আরও বেশ কয়েকজন কর্মী ইসলাম নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

উইলফির সঙ্গে রাফায়েলা সুবা, জেনিফার ফর্টিন, মারিয়ানা মানজানো, তেরেসিটা দাদলাম, জোসেফাইন জামিলা ও রিনালিন দিনসে ইসলাম গ্রহণ করেন।

উইলফি বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো রোজা রাখছি। আমার একটু কষ্ট হচ্ছে না। আল্লাহ আমাদের জন্য সবকিছু সহজ করে দিয়েছেন। তীব্র রোদে কাজ করতেও এখন আর আমি ক্লান্ত হই না। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’