আপনি কি সফল কর্মী? মিলিয়ে নিন

আপনি কি সফল কর্মী? মিলিয়ে নিন

ছবি: সংগৃহীত

আমাদের নানা অভ্যাস আমাদের জীবনে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখে। কিছু অভ্যাস বা কাজ আমাদের পারিবারিক জীবনে সফল করে, কিছু আবার কর্মক্ষেত্রে। আবার কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো সার্বিকভাবেই সফলতা বয়ে আনে। একজন সফল কর্মীর বিশেষ কিছু গুণ থাকে। খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন, তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো তাদেরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। আপনিও কি তাদের একজন? মিলিয়ে নিন-

শেখার মানসিকতা
কোম্পানি, শিল্প এবং নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আপনার কি সব সময়েই শেখার মানসিকতা রয়েছে? এই অভ্যাস আপনাকে একজন সফল কর্মী হিসেবে পরিচিত করবে। তাই প্রশ্ন করুন; সেমিনার, সম্মেলন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাদার বিকাশের সুযোগগুলো কাজে লাগান। সফল ব্যক্তিরা তাদের ক্যারিয়ার কোন দিকে যাচ্ছে এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য তাদের কী করা দরকার তা নিয়ে চিন্তা করে।

নেটওয়ার্ক
দক্ষতার বৃদ্ধির জন্য আপনার সহকর্মী এবং উর্ধ্বতনদের সাথে পরিচিত হন। যারা এগিয়ে যায় তারা তাদের ক্যারিয়ারজুড়ে নেটওয়ার্ক বিকাশ এবং লালন পালন করে। এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি আপনার নিজেকে সফল কর্মী হিসেবে দেখতে চান। সফল ব্যক্তিরা মিটিংয়ে কথা বলতে, তাদের মতামত দিতে বা ধারণাগুলো প্রকাশ করতে ভয় পান না। এমনকি আপনি একটি বিষয় বুঝতে না পারলে তা অন্যদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন। আপনার নেটওয়ার্ককে ঊর্ধ্বতনদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সফল হওয়ার জন্য চারপাশের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এটি মনে রাখবেন।

পেশাদারিত্ব
সময়সীমা পূরণ করুন, ইমেলের উত্তর দিন, টেলিফোন বার্তার উত্তর দিন, অফিসে এবং মিটিংয়ে সময়মতো উপস্থিত হোন, অফিসের গসিপে অংশগ্রহণ করবেন না, ভালো পোশাক পরুন এবং অন্যদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পেশাদার উপায়ে যোগাযোগ করুন। সফল ব্যক্তিরা সব সময় উচ্চ স্তরের পেশাদারিত্ব বজায় রাখেন।

সুযোগ কাজে লাগানো
সফল হওয়ার কোনো সুযোগই হাতছাড়া করবেন না। হয়তো কোনো কাজে আপনাকে প্রয়োজন নাও হতে পারে তবে আপনার হাতে সময় থাকলে সেই কাজে সাহায্য করতে পারেন। এতে আরেকজনের উপকার হবে এবং আপনারও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। সফল কর্মীরা বিভিন্ন সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। এতে এগিয়ে যাওয়ার পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়।

সক্রিয় এবং কৌশলী
সফল কর্মী হতে চাইলে আপনাকে সক্রিয় এবং কৌশলী হতে হবে। কাজ নিয়ে চিন্তা করুন। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা আগেভাগেই ভেবে রাখুন। অভিযোগ না করে বরং সমস্যা চিহ্নিত করে এবং সমাধানের চেষ্টা করুন। এ ধরনের অভ্যাস আপনাকে একজন নির্ভরযোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তুলবে। যা পরবর্তীতে আপনার ক্যারিয়ারে বিভিন্ন পালক যোগ করবে।