দারুণ শুরুর পরও অভিষিক্ত ‘মায়াঙ্কর’ বোলিং তোপে পাঞ্জাবের হার

দারুণ শুরুর পরও অভিষিক্ত ‘মায়াঙ্কর’ বোলিং তোপে পাঞ্জাবের হার

সংগৃহীত

লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ছুড়ে দেওয়া টার্গেটটা অবশ্য বড়ই ছিল। পাঞ্জাব কিংসকে জিততে করতে হতো ২০০ রান। ওভার প্রতি ১০! অবশ্য রান তাড়া করতে নেমে ট্র্যাকেই ছিল পাঞ্জাব। শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে ১১.৩ ওভারেই তারা তুলে ফেলেছিল ১০২ রান। এরপর অবশ্য বেয়ারস্টো ফিরেন ২৯ বলে ৩টি চার ও ছক্কায় ৪২ রান করে।

নতুন ব্যাটসম্যান প্রভসিমরান সিং রানের গতি সচল রাখেন। ৭ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৯ রানের ইনিংস খেলে থামেন তিনি। পাঞ্জাবের দলীয় রান তখন ১২৮। জিতেশ শর্মা অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ১৩৯ রানের মাথায় তিনি ৯ বলে ৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

শিখর ধাওয়ান তখনও ক্রিজে থাকায় স্বপ্ন দেখছিল পাঞ্জাব। কিন্তু ১৪১ রানের মাথায় ধাওয়ান বিদায় নিলে হার উঁকি দেয় পাঞ্জাব শিবিরে। শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ও শশাঙ্ক সিং চেষ্টার পরও ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব কিংস। তাতে হার মানে ২১ রানে। তৃতীয় ম্যাচে পাঞ্জাবের দ্বিতীয় হারে লক্ষ্ণৌ তুলে নেয় তাদের প্রথম জয়।

অবশ্য পাঞ্জাবের রানের লাগাম টেনে ধরেন লক্ষ্ণৌর উদীয়মান পেসার মায়াঙ্ক যাদব। ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার গতিতে বল করে পাঞ্জাবের মিডল অর্ডারে ভয় ধরিয়ে দেন। রানের গতি ধীর করে দেন। ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হন মায়াঙ্ক। এছাড়া মহসীন খান ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে কুইন্টন ডি কক, নিকোলাস পুরান ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লক্ষ্ণৌর রান ১৯৯ রানের চূড়ায় পৌঁছায়। ডি কক ৩৮ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৪ রান। পুরান ২১ বলে ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় করেন ৪২ রান। আর ক্রুনাল ২২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৪৩ রান। এর বাইরে মার্কাস স্টয়েনিস ১৯ ও লোকেশ রাহুল ১৫ রান করেন।

বল হাতে পাঞ্জাবের স্যাম কারান ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আরশদীপ সিং ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।