মাগুরায় অজ্ঞাত রোগে ৫ গরুর মৃত্যু

মাগুরায় অজ্ঞাত রোগে ৫ গরুর মৃত্যু

সংগৃহীত

মাগুরায় গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে এক পরিবারের পাঁচটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এতে করে ওই পরিবারের কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছে।

পাঁচ দিনের ব্যবধানে পাঁচ গরুর মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই গ্রামের গরু খামারিরা। তবে ডাক্তার বলছে, নেপিয়ার ঘাস খাওয়ানোর ফলে নাইটেড পয়জনিংয়ের ফলে মৃত্যু হতে পারে। 

গরুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মাগুরার সদর উপজেলার আঠারোখাদা ইউনিয়নের বাঁশ কোঠা গ্রামে। ওই গ্রামের প্রদীপ কুমার বিশ্বাসের পাঁচটি গরু বুধবার (৩ এপ্রিল) অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে একে একে পাঁচটি গরু মারা যায়। গরুগুলো আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা বলে জানান ওই খামারি।

এর আগে মঙ্গলবার প্রদীপ কুমারের বাড়ির পাশে কার্তিক চন্দ্র মল্লিকের একটি গরুর মৃত্যু হয়। যার মূল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। কৃষক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পাঁচটি গরু স্থানীয় চিকিৎসক দেখানো হয়, তবে ওই রাতে একটি গরুর মৃত্যু হয়। ঠিক কী রোগ হয়েছে জানতে পারেননি চিকিৎসকরা। এখন আমার যে একটি গরু আছে, সেটি অসুস্থ। এটি বাঁচবে কি-না বুঝতে পারছি না। যে পাঁচটি গরু মারা গিয়েছে, তার মূল্য ৭ লাখ টাকা।’ 

অপর খামারি কার্তিক চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী শ্রীমতি মন্ডল বলেন, ‘আমাদের আটটি গরুর মধ্যে মঙ্গলবার একটা মারা গেছে। তার দাম আড়াই লাখ টাকা। কী কারণে মারা গেছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন বাকি যে গরুগুলো আছে তাদের কী হবে, সেটা ভেবে ভয়ে আছি।’ 

বাঁশ কোঠা গ্রামের বাবু লাল বিশ্বাস বলেন, ‘গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই গরু রয়েছে। হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে দুটি পরিবারের ছয়টি গরু মারা যাওয়ার ফলে গ্রামবাসী চিন্তিত হয়ে পড়েছে। ঠিক কী কারণে গরু মারা যাচ্ছে, দ্রুত সেটি বের করা প্রয়োজন।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কমকর্তা ডা. মিহির কান্তি বিশ্বাস বলেন, নেপিয়ার ঘাস ও মসুরির উচ্ছিষ্ট খাওয়ানোর কারণে নাইটেড পয়জনিংয়ের ফলে গরুর মৃত্যু হতে পারে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ঘাসগুলো পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এই চিকিৎসক।