ট্রসার্ডের গোলে বায়ার্নের কাছে হার এড়ালো আর্সেনাল

ট্রসার্ডের গোলে বায়ার্নের কাছে হার এড়ালো আর্সেনাল

ছবি: সংগৃহীত

ঘরের মাঠে দারুণ শুরু করার পরেও আর্সেনাল ছিল হারের শঙ্কায়। অন্যদিকে শুরুতে গোল হজমের চাপ সামলে দ্রুত দুই দফা গানার্সদের জালে বল পাঠিয়ে জয় নিয়ে ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখছিল বায়ার্ন মিউনিখ। তবে বদলি নামা ট্রসার্ডের গোলে স্বস্তি ফেরে আর্সেনাল শিবিরে। তাতে ড্র হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই দলের জমজমাট লড়াই। এমিরেটস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে শেষ আটের রোমাঞ্চকর ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়। আগামী ১৭ এপ্রিল বায়ার্নের মাঠে হবে ফিরতি লেগ। সেই ম্যাচের জয়ী দল যাবে সেমি-ফাইনালে।

ম্যাচের প্রথম গোল পেয়েছিল গানার্সরাই। দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে ম্যাচের ১২ মিনিটে আর্সেনালকে লিড এনে দেন উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। তবে লিড খুব বেশিক্ষণ টেকেনি। গ্যাব্রিয়েল এবং ডেভিড রায়ার হাস্যকর ভুলের সুযোগ নিয়ে পাল্টা‌ আক্রমণে যায় বায়ার্ন। সেখানেই গোল করে বসেন সার্জ ন্যাব্রি। ১৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে বায়ার্ন।

এরপর ঘরের মাঠে আর্সেনাল সমর্থকদের দ্বিতীয়বার হৃদয় ভাঙে ২৯ মিনিটে। বক্সের ভেতর লেরয় সানেকে ফাউল করে উইলিয়াম সালিবা ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। ৩২ মিনিটে সফল স্পট কিকে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ক্লাব ফুটবলে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন কেইন। আর্সেনালের বিপক্ষে যা তার পঞ্চদশ গোল। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে ট্রসার্ডকে নামান আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। এই টোটকায় যেন ভাগ্য ফেরে আর্সেনালের। দারুণ এক দলগত আক্রমণ থেকে গোল পেয়ে দলকে সমতায় আনেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। এই গোলই শেষ পর্যন্ত হার থেকে বাঁচায় আর্সেনালকে।

শেষ পর্যন্ত হার এড়ালেও, কিছুটা অস্বস্তি আছে আর্সেনালের। কারণ পরের ম্যাচটা যে তাদের বায়ার্নের মাঠ আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় খেলতে হবে। দ্বিতীয় লেগে জয় নিয়ে ফিরতে পারে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা।