সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে মিলল মাদরাসাছাত্রের মরদেহ

সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংকে মিলল মাদরাসাছাত্রের মরদেহ

ছবিঃ সংগৃহিত।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একটি মার্কেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মারুফ হাসান (১২) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন র‍্যাব-১২ এর সদস্যরা। গত ৫ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। 

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোরে তাড়াশ থানার ঝুরঝুরি বাজারের তালুকদার মার্কেটের পেছনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। 

নিহত মারুফ হাসান ঝুড়ঝুড়ি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে। সে সলঙ্গা থানার একটি মাদরাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

আটককৃতরা হলেন- তাড়াশ থানার ঝুরঝুরি গ্রামের মৃত তফেরের ছেলে মো. আবুল হাশেম ওরফে হাসু (৪৮), মোশারফ হোসেনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫), মো. নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আল আমিন হোসেন (২২), মো. রফিক হোসেনের ছেলে মো. ওমর ফারুক (২২) ও মো. সাইদুর রহমানের ছেলে মো. কাওছার হোসেন (১৯)। 

দুপুরে র‍্যাব-১২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মারুফ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। 

তিনি জানান, গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তাড়াশ থানাধীন ঝুরঝুরি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বাইরে যায় শিশু মারুফ। এরপর সন্ধ্যা হয়ে এলেও মারুফ বাড়িতে ফিরে না আসায় তার অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও মারুফকে না পেয়ে তার বাবা মোশারফ হোসেন ওইদিনই রাতে তাড়াশ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মারুফ হাসানকে উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামে র‌্যাব-১২।

এরই ধারাবাহিকতায় মারুফকে অপহরণের সন্দেহে প্রথমে তিনজনকে আটক করে র‍্যাব। এরপর তাদের দেওয়া তথ্য মতে ভোর ৫টার দিকে ঝুরঝুরি বাজারের তালুকদার মার্কেটের পেছনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে র‌্যাব-১২ এর সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল অপহৃত মাদরাসাছাত্র মারুফ হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে অপহৃত মাদরাসাছাত্র মারুফ হাসানের হত্যাকারী হিসেবে সন্দেহভাজন আরও দুইজনসহ মোট পাঁচজন সম্ভাব্য হত্যাকারীকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করার আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব-১২ অধিনায়ক।