বগুরায় ককটেল হামলার স্বীকার ২ পুলিশ সদস্য

বগুরায় ককটেল হামলার স্বীকার ২ পুলিশ সদস্য

ছবিঃ সংগৃহিত।

বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের ককটেল হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এ তথ্য দিয়েছেন।

আহতরা হলেন-উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুর রশিদ (৩৭) ও কনস্টেবল মাহবুব হোসেন (৪০)। আবদুর রশিদ মুখ এবং মাহবুব হোসেন হাত ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, আবদুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়ায় মৃত আবদুল খালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে একই এলাকার পাতলা মোহাম্মদের ছেলে খোকন, ন্যাংড়া হেলালের ছেলে তারেক, সিহাব, কবির ও উটের মোড়ের পারভেজ ওই বাড়ির সামনে সরু পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বাড়ির জানালা খোলা থাকায় তার সঙ্গে খোকন ধাক্কা খেয়ে আঘাত পান।

এরপর সকলে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল আজিজের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেন। হামলার শিকার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুকে জানান। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা থানায় যেতে সাহস পাননি। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুর রশিদ ও কনস্টেবল মাহবুব হোসেন সাদা পোশাকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন। এ সময় সেখানে খোকন, তারেক ও অন্যরা আশপাশে ছিলেন।

পুলিশ সদস্যরা খোকনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার পকেটে কি আছে তা জানতে চান। তখন খোকন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে তারা দুজনই রক্তাক্ত জখম হন। আশপাশের বাসিন্দারা আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এছাড়া তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত পুলিশ কনস্টেবল মাহবুব হোসেন জানান, শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়ায় একটি বাড়িতে এক নারীকে মারধর করা হচ্ছে- জাতীয় পরিসেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে এমন খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে এএসআই আবদুর রশিদ ও তিনি ঘটনাস্থলে যান। তাদের দেখে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তাকে থামতে বললে তিনি ঘুরে আমাদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। ককটেলটি বিস্ফোরিত হলে তারা দুজন আহত হন।

উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীদের ককটেল হামলায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মাহবুব হাত ও পা এবং রশিদ মুখে আঘাত পেয়েছেন। হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। পাশাপাশি সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।