গাজায় প্রবেশ করেছে দুই শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক

গাজায় প্রবেশ করেছে দুই শতাধিক ত্রাণবাহী ট্রাক

সংগৃহীত

ইসরায়েলি সরকার শুক্রবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে দাবি করেছে যে, যেখানে তারা বলছে একটি নতুন উন্মুক্ত করিডোর দিয়ে প্রথম মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করছে।

ইসরায়েলের সরকারি দফতর এই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে এবং তারা বলে যে, সেখানে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাজায় প্রবেশ করছে এমন ট্রাকগুলিকে দেখা যাচ্ছে।

তাদের পোস্টে কোগাট জানিয়েছে, ২১৩টি ট্রাককে তল্লাশি শেষে সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থল সীমান্ত কর্তৃপক্ষ এবং নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ ট্রাকগুলোতে কঠোর তল্লাশি চালায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি উভয়ই বলেছে তারা ওই ভিডিওর সত্যতা কিংবা নতুন ওই সীমান্ত পারাপারের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি।

ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিকিৎসাকর্মীদের একটি দল এ সপ্তাহে গাজা ভূখন্ডের দক্ষিণাঞ্চল সফর শেষে শুক্রবার জানায় যে, খান ইউনিসের একটি রাস্তা কিংবা একটি ভবনও অক্ষুন্ন নেই।

জেনেভায় একটি ‍ব্রিফিং এর সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভিডিওতে তিনটি স্বাস্থ্য স্থাপনা – দ্য নাসের মেডিকাল কমপ্লেক্স এবং আল আকসা ও আল খায়ের হাসপাতালগুলি দেখান। ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের পর চিকিৎসাকর্মীদের ওই দল এ সপ্তাহে ওই স্থাপনাগুলি পরিদর্শন করে।

তারা জানান সব ক’টি স্থাপনাকেই কাজের উপযোগী মনে হয়নি – সেগুলিতে কোন অক্সিজেন সরবরাহ, পানি কিংবা বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না এবং কোন চলমান পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা ও ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স যা কীনা এক সময়ে দক্ষিণ গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদন্ড ছিল, তা এখন আবর্জনায় পরিণত হয়েছে।

উত্তর গাজায় আল শিফা হাসপাতালেও এমনি হতাশাব্যঞ্জক দৃশ্য দেখা যায়।

ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৩ হাজার ৬৩৪ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ২১৪ ফিলিস্তিনি।