বগুড়ায় বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ায় বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ছবি: প্রতিনিধি

বগুড়া বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের এক যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিড়ি শ্রমিকদের অধিকার ও বিড়ির উপর বৈষম্যমূলক কর প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। শনিবার আগামী ২০২৪-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, প্রাক-বাজেট সভায় অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা) কর্তৃক প্রতি প্যাকেট বিড়ির মূল্য ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা এবং সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বিড়ি শিল্প বাংলাদেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। এই শিল্পে দেশের সুবিধা বঞ্চিত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। স্বাধীনতার পর এ অসহায় শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিড়িশিল্পকে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেন। শ্রমবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় বিড়িতে শুল্ক কমিয়ে সিগারেটে শুল্ক বৃদ্ধির নির্দেশনা দেন। কিন্তু বিদেশী এজেন্ডা বস্তবায়নে আত্মা ও প্রজ্ঞা বিড়ির মূল্য এবং শুল্ক বৃদ্ধি প্রস্তাব দেশীয় বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। দেশীয় শিল্প ও শ্রমিক বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র বন্ধের অনুরোধ করছি।

মতবিনিময় সভায় বিড়ি মালিক ও শ্রমিকরা দাবি করেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন ট্যাক্স ছিল না, তাই বর্তমানে বিড়ি শিল্পের উপরে কোন ট্যাক্স না রাখা, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা, বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা এবং বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা।

বিড়ি শিল্প মালিক ও বিড়ি শ্রমিকরা বিড়ি ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাবেন বলে জানান।

সভায় বগুড়া বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও জয় বিড়ির মালিক আলহাজ্ব মো: রফিকুল ইসলামসহ বগুড়া বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি এবং বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।