নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়

নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়

সংগৃহীত

ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্ক। ঈদ উপলক্ষে আকর্ষণীয় রাইডের পাশাপাশি বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পার্কটি। নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনার চৈতাবতে অবস্থিত ড্রিম হলিডে পার্কটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠেছে। 

গানের তালে তালে ওয়াটার কিংডমে পানির ঢেউয়ে দুলে নেচে গেয়ে আনন্দ ফুর্তি করেন শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ। চলছে হৈহুল্লোড়, দাপাদাপি আর আনন্দ-চিৎকার। বোঝায় যাচ্ছে নগরের বাইরের এসে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে মনের আনন্দে চলছে ঈদ উদযাপন। এ ছাড়া, এখানে এলেই দেখা মিলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে চলছে স্কাই ট্রেন। উৎসবের এই আড্ডায় পরিবার-পরিজন অনেকেই চড়ছেন প্যাডেল বোটে, ঘুরে ঘুরে দেখছেন ভূতের রাজ্য। এদিকে, হিমালয় পর্বতের সাদৃশ্য ফেনটম হিল দেখে মুগ্ধ হচ্ছে অনেকেই।

ঢাকা থেকে ঘুরতে এসে সজীব সরকার ও মনি আক্তার বলেন, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে কোথাও যাওয়া হয় না। ঈদকে কেন্দ্র করে আজকে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে এসেছি পার্কে এসে অনেক ঘোরাঘুরি করেছি। বিভিন্ন রাইডে উঠেছি। সবকিছু মিলে অনেক ভালো লাগছে। এখানকার পরিবেশটা অন্যরকম। বঙ্গবন্ধু টানেল পদ্মা সেতু সুইমিং পুল সবকটাতে উঠেছি। মনের ভেতরে অফুরন্ত খুশি অনুভব করেছি। বিশেষ করে আমাদের ভূতের বাড়িটা অনেক ভালো লেগেছে। 

প্রবীর কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশের দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থীরা ঈদকে কেন্দ্র করে আমার পার্কে আসছে। অনেকে দেশের বাইরে থেকে আসছে। সকলের কথা চিন্তা করে এই জায়গায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করার জন্য ও তাদের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য আমার এই পার্ক সর্বদিক দিয়ে প্রস্তুত। 

উল্লেখ্য, প্রায় ১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত এ পার্কটিতে ওয়াটার পার্ক, স্কাই ট্রেন, বুলেট ট্রেন, ওয়াটার বোট, রোলার কোস্টার, সুইং চেয়ার, স্পিডবোট ও ভূতের রাজ্যসহ ২৫টি রাইডে চড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সব বয়সী দর্শনার্থী। দর্শনার্থীরা ৩৫০ টাকার বিনিময়ে পার্কে প্রবেশ করছেন। এ ছাড়াও, রাইড প্রতি গুণতে হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকছে পার্কটি।