ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, হতাহত ৯

ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, হতাহত ৯

ছবি: সংগৃহীত

ইরান সমর্থিত পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ)-এর ব্যবহৃত ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে একজন নিহত ও কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছেন। ইরাকের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা।

পিএমএফ বলেছে, শুক্রবার গভীর রাতে বাবিল (ব্যাবিলন) প্রদেশের রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত কালসু সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছিল।

ঘটনাস্থলের ভিডিও এবং ছবিতে বিশাল বিস্ফোরণ দেখা গেছে। এতে আশপাশের এলাকার গাছগুলোতেও আগুন ধরে যায় এবং আগুন ছড়িয়ে পরে। শনিবার সকালে ঘাঁটির ভেতরের ফুটেজে একটি বড় গর্ত এবং অবকাঠামো ও যানবাহনের ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে।

একটি বিবৃতিতে পিএমএফ দাবি করেছে, ‘আমেরিকান নেতৃত্ব ইস্কান্দারিয়া শহরের কাছে অবস্থিত কালসো সামরিক ঘাঁটিতে বোমা মেরেছে।’

ইরাকি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে, বিস্ফোরণের আগে বা বিস্ফোরণের সময় বাবিল এলাকার আকাশসীমায় কোনো ড্রোন বা ফাইটার জেট সনাক্ত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরাকে বিমান হামলার পেছনে জড়িত থাকার খবর অস্বীকার করেছে। শনিবার বিকাল পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি।

ইরাকি সরকার জানিয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত করছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।

ঘাঁটিগুলোতে ইরাকি ফেডারেল পুলিশ ও ইরাকি সামরিক বাহিনীও রয়েছে।

ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের সময় ক্যাম্প কালসু মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এটি ২০১১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘাটিতে একটি গোলাবারুদ, ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্রের গুদাম রয়েছে।

তবে এই হামলার জন্য সন্দেহের তীর ইসরায়েলের দিকে চালানো হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

পিএমএফের চিফ অব স্টাফ আবু ফাদাক আল-মুহাম্মাদউই শনিবার ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন।

ইরাকে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স, ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর ছাতা গোষ্ঠী শনিবার ভোরে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে। গোষ্ঠীটি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, তারা ইসরায়েলের বন্দর শহর ইলার একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা করেছে।