ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র গোপনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে। কিয়েভ সেগুলো রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার শুরু করেছে। খবর বিবিসি, রয়টার্সের।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে যা এরই মধ্যে তারা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অনুমোদন করা ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের অংশ এই অস্ত্র। চলতি মাসে সেগুলো ইউক্রেনে পৌঁছে।

যুক্তরাষ্ট্র এর আগে ইউক্রেনকে মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিল। রাশিয়ার অধিকৃত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি, রেলপথ ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবারহের পথগুলোতে শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অনেকদিন ধরেই বাইডেন প্রশাসনের কাছে চেয়ে আসছে ইউক্রেন। যদিও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি কখনো।

ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জনের পর গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে যুদ্ধের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘন হিসেবে জানায়। রাশিয়া জানায়, এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়েছে বলে মনে করবে তারা।

ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কাছে জানতে চাইলে ওই সময় তিনি এনবিসিকে সরাসরি কিছু না বললেও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টও আগে করা তাদের এক প্রতিবেদনে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হতে পারে বলে জানায়। গত ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এগুলো ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে আঘাত হানতে পারে। এমন অবস্থার মধ্যে মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার কথা জানায়।

মার্কিন মিডিয়ার খবরে বলা হয়, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রুশ টার্গেটে আঘাত হানতে অন্তত একবার এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। বাইডেন এখন ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের নতুন প্যাকেজে সই করেছেন।