বিমা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক রিপোর্টিং মান অনুসরণের নির্দেশনা

বিমা প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক রিপোর্টিং মান অনুসরণের নির্দেশনা

ফাইল ছবি

দেশের সব বিমা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজস্ব হিসাব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রণয়ন ও সংরক্ষণে বিমাকারী প্রতিষ্ঠানকে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত এবং বিমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস অনুসরণ করতে হবে। রাজস্ব হিসাব ও স্থিতিপত্র তৈরির ক্ষেত্রে ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস সংশ্লিষ্ট ছক ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এই নির্দেশনায় বিমাকারীর রাজস্ব হিসাব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা ২০২৪-এর খসড়ায় এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল (২৮ এপ্রিল) এই সংক্রান্ত একটি বিধি জারি করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই খসড়ায় বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রণীত ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫-এর ৪০ ধারা অনুসরণ করতে হবে।

ইসলামী বিমা ব্যবসার বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, ইসলামী বিমা ব্যবসার হিসাব প্রণয়নে বিমাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিমা আইন ২০১০-এর ধারা ৭-এর আওতাধীন একই সঙ্গে প্রচলিত বিমা ব্যবসা এবং ইসলামী বিমা ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত হলে প্রবিধি ৩ ও ৪ পরিপালন-পূর্বক ইসলামী বিমা ব্যবসার হিসাব এবং প্রচলিত বিমা ব্যবসার হিসাব, রাজস্ব হিসাব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রে পৃথকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংরক্ষণের বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়েছে, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন ২০১৫-এর ৪০ ধারার আওতায় ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত এবং বিমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডগুলো অনুসরণ-পূর্বক বিমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি হোল্ডারদের তহবিল পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।