বৃষ্টির পরও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

বৃষ্টির পরও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

ফাইল ছবি

সোমবার (৬ মে) সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। সকালে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ১১২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা ১১তম অবস্থানে রয়েছে।

ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৩৮, ১৮৪ ও ১৭৫ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

ভারতের দিল্লি, নেপালের কাঠমান্ডু ও চীনের বেইজিং যথাক্রমে ৫২৮, ১৮৬ ও ১৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।