যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র বিক্ষোভ দমাতে ধরপাকড় চলছেই

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্র বিক্ষোভ দমাতে ধরপাকড় চলছেই

সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। বিক্ষোভ দমনে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়ও। গত শুক্রবার (১০ মে) ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া থেকেও বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কয়েক ডজন শিক্ষার্থীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনাতেও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপির খবর বলছে, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ক্যাম্পাস পুলিশ ও ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ বিভাগ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে অভিযান শুরু করে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা ওই স্থানে অবস্থান নিয়েছিল।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে শিক্ষক ও সাত শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৯ শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়েছে, বাদবাকিরা বহিরাগত।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যাতে গাজা যুদ্ধ প্রেক্ষাপটে ইসরায়েল ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মকাণ্ডের ইতি টানে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার টাকসনের ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশকে দাঙ্গা থামানোর সরঞ্জাম নিয়ে নামতে দেখা যায়। এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন। এ ছাড়া নিউ মেক্সিকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।

ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসনেও বিক্ষোভ হচ্ছিল। তবে সেখানকার বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার স্থায়ীভাবে তাদের দুই সপ্তার পুরোনো তাঁবু গুটিয়ে নিতে রাজি হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও তারা বিঘ্ন ঘটাবে না বলে জানায়। তবে এর বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বৈঠকে বসতে চেয়েছে তারা।

বিক্ষোভকারীদের কারণে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার পমোনা কলেজ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জায়গা পরিবর্তন করেছে। মূল ক্যাম্পাস থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠান।

প্রসঙ্গত নিউইয়র্ক শহরের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে শুরু হয় বিক্ষোভ। পড়ে তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাৎক্ষণিকভাবেই ব্যবস্থা নেয়। অন্যরা সময় দেয় বিক্ষোভকারীদের। সম্প্রতি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই পুলিশ দিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে দেখা গেছে। সূত্র: এপি