কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেল ৮০৭৮ শিক্ষার্থী

কারিগরি বোর্ডে জিপিএ-৫ পেল ৮০৭৮ শিক্ষার্থী

ফাইল ছবি

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।রোববার (১২ মে) ১১টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী।

এসএসসি’র ফলাফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল যুগের শিক্ষার্থীদের মেধা অনেক বেশি। তাদের সেই মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রীর সংখ্যা বেশি ছাত্র কম কেন, সেটি খুঁজে বের করতে হবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গত দেড় দশকে কারিগরি শিক্ষা, নারী শিক্ষা ও সাক্ষরতার হার বেড়েছে।

এর আগে, সকাল ১০টায় বোর্ড চেয়ারম্যানদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের অনুলিপি হস্তান্তর করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করবেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে এর আগেই ফল জানা যাবে। সকাল ১১টা থেকেই এসএসসি পরীক্ষার ফল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে জানা যাবে। এ ছাড়া এসএমএস-এর মাধ্যমেও ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করে।

সাধারণত প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে করোনা মহামারির কারণে দেশের শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। ২০২০ সালে বিষয় ও নম্বর কমিয়ে এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণ সময় এবং পূর্ণ নম্বরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়।